৭ নভেম্বর না হলে বিএনপির জন্ম হতো না

প্রথম আলো মহিউদ্দিন আহমদ প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৩৮

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনীতির চালচিত্র পাল্টে যায়। একদিকে বাকশাল তথা আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা, অন্যদিকে আর সব রাজনৈতিক দল—এ রকম একটা সমীকরণ তৈরি হয়। যে জনতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালে দেবতার আসনে বসিয়েছিলেন, চার বছরের মাথায় তাঁকে তাঁরা ছুড়ে ফেলে দিলেন। কেন এমন হলো?


অধ্যাপক আহমদ শরীফের একটি উক্তি দিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করব। তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবকে যারা হত্যা করল, তারা গোড়ায় সবাই মুজিবের অনুগত ছিল। … শেখ মুজিবের সাড়ে তিন বছরের দুঃশাসন কিন্তু হত্যা-লুণ্ঠনের বিভীষিকা, যা মুজিবকে গণশত্রুতে পরিণত করেছিল’ (সূত্র: আহমদ শরীফের ডায়েরি: ভাব-বুদ্বুদ)।


মুজিব অনুসারীরা কখনো এটি খতিয়ে দেখেননি। তাঁরা সব সময় এটাকে ব্যাখ্যা করেছেন ষড়যন্ত্রতত্ত্ব দিয়ে। বললে অত্যুক্তি হবে না, শেখ মুজিবকে পাকিস্তানিরা মারেনি। তিনি নিহত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের হাতে। ক্ষমতাসীন বাকশালের বাইরে সব রাজনৈতিক দল চেয়েছিল শেখ মুজিবের পতন। অনুঘটকের কাজটা করল সেনাবাহিনীর দুটি ইউনিট। সেনানেতৃত্ব এটি সমর্থন করল। ফলে এটি হয়ে দাঁড়াল একটি সামরিক অভ্যুত্থান।


সামরিক অভ্যুত্থান এ দেশে নতুন নয়। পাকিস্তান শাসনামলে এটি দুবার হয়েছে—১৯৫৮ ও ১৯৬৯ সালে। শাস্ত্রমতে, যখন নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন করা যায় না, তখন দেশের ক্ষমতাধর কোনো গোষ্ঠী এ রকম অভ্যুত্থান ঘটিয়ে থাকে। আর কে না জানে, দেশের সবচেয়ে সংগঠিত, প্রশিক্ষিত ও অস্ত্রবলে বলীয়ান প্রতিষ্ঠান হলো সামরিক বাহিনী।



এ বাহিনীর কেউ যদি মনে করেন দেশ ঠিকমতো চলছে না, রাজনীতিবিদদের আচরণ ভালো নয়, তাঁরা গণেশ উল্টে দেন। তবে পাকিস্তানি স্টাইলের সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক অভ্যুত্থানের একটি বড় পার্থক্য আছে। পাকিস্তানের দুটি অভ্যুত্থানই ছিল ‘রক্তপাতহীন’। বাংলাদেশেরটা রক্তাক্ত। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে অনেক রক্তপাতের মধ্য দিয়ে। 


১৫ আগস্টের অভ্যুত্থান বিষয়ে সেনাবাহিনীর অনেকে অবগত থাকলেও সবার অংশগ্রহণ ছিল না। সেনাবাহিনীতে দলাদলি ছিল। এর সূত্রপাত ১৯৭১ সালে। ওই সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা যেমন জমিদারি স্টাইলে দিন কাটিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডাররাও অনেকে ছিলেন ওয়ারলর্ডের মতো। 


স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক সরকার তাদের মধ্যে বিভাজন জিইয়ে রেখেছিল। ভেবেছিল, এভাবেই দিন যাবে, কিন্তু সেটি হয়নি। অন্তঃকোন্দল সত্ত্বেও পুরো সেনাবাহিনী রাজনৈতিক সরকারের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ দাবি করত, তারাই দেশটা স্বাধীন করেছে। 


সেনানেতৃত্ব মনে করত, আওয়ামী লীগের নেতারা কলকাতা-আগরতলায় বসে আমোদ ফুর্তি করে দিন কাটিয়েছেন। রণাঙ্গনে ছিলেন সেনারা। তাঁরাই যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। সুতরাং দেশ পরিচালনা করার অধিকার তাঁদেরও আছে। কিন্তু তাঁরা নিদারুণ অবহেলার শিকার হয়েছেন। শেখ মুজিব দেশ শাসন করেছেন তাঁর দল আর রক্ষীবাহিনী দিয়ে, ভারতের সমর্থন নিয়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও