জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার এখনই সময়

যুগান্তর মো. আব্দুল জলিল প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৭

দেশের যে কোনো মানুষকে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে দলমতনির্বিশেষে সবাই একবাক্যে বিগত সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, নিরীহ মানুষকে হয়রানি, চাঁদাবাজি, ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি ছোড়া ও হত্যা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দায়ী করবেন। দীর্ঘ পনেরো বছর একটানা ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগে এবং সরকারে স্বার্থান্বেষী ও সুযোগসন্ধানীদের সম্মিলন ঘটেছিল। ফলে একসময়কার জনগণের দল পরিণত হয় চাটুকার ও তোষামোদকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। আদর্শবান রাজনৈতিক নেতারা দলে গুরুত্ব হারান অথবা তাদের কোণঠাসা করে রাখা হয়।


যেনতেন উপায়ে ক্ষমতায় থাকার মোহ পেয়ে বসায় দলের কাছে জনগণের গুরুত্ব কমে যায় এবং রাতের ভোটের কারিগরদের কদর বাড়ে। পুলিশ ও আমলাতন্ত্রের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতার কারণে দুর্নীতিবাজ আমলাদের ন্যায্য-অন্যায্য দাবি সরকারকে মেনে নিতে হয়। নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নে দলীয় আনুগত্য প্রদর্শন বেশি গুরুত্ব পায়। প্রশাসনে পেশাদারির পরিবর্তে দলীয় পরিচয় যোগ্যতার মানদণ্ড হিসাবে বিবেচিত হয়। ফলে প্রশাসন ও দলের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা অনেক ক্ষেত্রে দুরূহ হয়ে পড়ে।


অনেক কর্মকর্তাই আওয়ামী ভাষায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে ছাত্র, যুব ও পেশাজীবী সংগঠনে দুর্নীতিবাজ, চাটুকার ও পেশিশক্তির প্রাধান্য দেখা যায়। অনিয়মই দেশে নিয়মে পরিণত হয়। বিভিন্ন এলাকায় সরকারি দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় কিছু দালাল সৃষ্টি হয়, যারা সর্প হয়ে দংশন করত, আবার ওঝা হয়ে বিষ নামানোর দায়িত্ব পালন করত। একদিকে ক্ষমতার অপব্যবহার, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি, খুন, গুম, আয়নাঘরের বীভৎস নির্যাতন সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। মানুষ এ বিভীষিকাময় অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছিল। অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলন স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করতে পেরেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও