
গত রেজিমে রাষ্ট্রের প্রাইভেটাইজেশন
প্রাইভেটাইজেশন বা বেসরকারীকরণ কথাটির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। আশির দশকে ওয়াশিংটন কনসেন্সাস হওয়ার পর থেকে প্রাইভেটাইজেশন কথাটি বহুলভাবে আলোচিত হয়ে আসছে। ওয়াশিংটন কনসেন্সাসের পর, বিশ্বের বহু দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পরিচালিত কলকারখানা এবং এন্টারপ্রাইজ ব্যক্তিমালিকানায় তুলে দেওয়া হয়।
কারণ হিসাবে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কলকারখানা ও সংস্থাগুলো বিপুল পরিমাণে লোকসান করছে। কারণ, এগুলো অদক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং দুর্নীতি ঘুণপোকার মতো এগুলোর মধ্যে বাসা বেঁধেছে। এ কারখানাগুলো চালু রাখার জন্য সরকারকে বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হয়।
ভর্তুকি না পেলে এসব কলকারখানা শ্রমিকদের বেতন ও মজুরি দিতে পারে না এবং উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কিনতে পারে না। ভর্তুকি হিসাবে সরকার যে অর্থ ব্যয় করে, সে অর্থ জনকল্যাণমূলক আরও অনেক কাজে ব্যয় করা সম্ভব হতো। ভর্তুকির অর্থ সরকারের রাজস্ব আয় থেকে আসে। রাজস্ব আয় জনগণেরই অর্থ। জনগণ এ অর্থ কর আকারে সরকারের তহবিলে জমা দেয়।