বিজিএমইএকে প্রকৃত রপ্তানিকারকদের সংগঠন হিসেবে দেখতে চান সদস্যরা
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের চলমান অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় সেটি ভেঙে দিয়েছে সরকার। প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে।
বিজিএমইএতে প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে সংগঠনটির সাবেক নেতা ও সদস্যরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা মনে করেন, এটি প্রকৃত রপ্তানিকারকদের ভোটাধিকারের সঙ্গে সংগঠনের নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কার করার একটি সুযোগ। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে সদস্যদের ভোটাধিকারের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। কারণ নির্বাচনী মঞ্চের দুটি প্যানেলের মধ্যে আলোচনা ও পরিচালক পদের ভাগাভাগি ছিল, যেখানে সাধারণ ভোটারদের মতামতের প্রকাশ ঘটেনি।
সাধারণত সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বিজয়ী প্যানেল তাদের মধ্যে থেকে সভাপতি নির্বাচিত করে বোর্ড গঠন করে। বিগত নির্বাচনে এস এম মান্নানের (কচি) নেতৃত্বে সম্মিলিত পরিষদ ২০২৪-২৬ মেয়াদে অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ নির্বাচনে ৩৫টি পরিচালক পদে জয়ী হয় এবং একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তবে ফোরাম অভিযোগ করে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।