মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষতির মুখে বিশ্ব
‘দীর্ঘদিনের যুদ্ধে কোনো জাতি উপকৃত হওয়ার উদাহরণ নেই’, বলেছেন, দ্য আর্ট অব ওয়ার (যুদ্ধের শিল্প)-এর লেখক সান জু। তিনি যিশুখ্রিস্টের জন্মের কয়েকশ বছর আগে এই কথা বলে গিয়েছিলেন। সান জু ছিলেন প্রাচীন চীনের একজন বড়মাপের সামরিক কৌশলী, দার্শনিক ও লেখক।
তার বাণী মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়ে খুবই জুতসই বলে মনে হচ্ছে। এএফপির এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১ হাজার ৪১৮ জন নিহত হয়েছে। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর অনেক বেশি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরের বেশি সময়ে ইসরায়েলের হামলায় সেখানে নিহত হয়েছে অন্তত ৪২ হাজার ৫১৯ জন।
আর আহত হয়েছে অন্তত ৯৯ হাজার ৬৩৭ জন। গত এক বছরের সংঘাতে গাজায় ১৪ হাজার ১০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটির মুখপাত্র জেমস এলডার বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজার ১০ লাখ শিশুর জন্য উপত্যকাটি এখন ‘পৃথিবীর বুকে নরক’-এ পরিণত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যে নানামুখী সংঘর্ষ চলছে, তার আর্থিক ক্ষত ও ক্ষতি অনেক বেশি। যেসব সাধারণ মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে তাদের জীবনের মূল্য আমাদের পক্ষে নির্ধারণ করা কীভাবে সম্ভব? এই দুর্ভাগা মানুষ-শিশু-নারীরা তো জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী কোনোভাবেই হত্যাযজ্ঞের শিকার হওয়ার কথা নয়। তাহলে পাশ্চাত্যের তৈরি এই কনভেনশন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছেন না কেন? এই প্রসঙ্গে আরেকদিন কথা বলা যাবে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- সংঘাত
- যুদ্ধ ও সংঘাত
- সংঘাত সৃষ্টি