সুজেয় শ্যাম : বিজয় নিশান উড়ছে ঐ

ঢাকা পোষ্ট তিমির নন্দী প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩২

১৯৬৯ সাল। পূর্ব পাকিস্তান মিউজিক কম্পিটিশন হলো দেশ জুড়ে। ছোটদের গ্রুপে আমি আধুনিক গানে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক এবং পল্লীগীতিতে দ্বিতীয় হয়ে রৌপ্য পদক পেলাম। বিভিন্ন পত্রিকায় আমার ছবিসহ প্রতিবেদন ছাপা হলো।


একদিন রেডিও পাকিস্তান, শাহবাগ ঢাকা কেন্দ্র থেকে কিংবদন্তি বংশীবাদক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ধীর আলী মিঞা আমাদের কলাবাগান লেক সার্কাসের বাসায় এসে বললেন, তাকে রেডিও পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পাঠিয়েছেন। আমরা যারা উপরোল্লিখিত কম্পিটিশনে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছি, তাদের অফিসে যেতে হবে। ওখানে একটি অনুষ্ঠান হবে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কিছু শিল্পী, কর্মকর্তারা আসবেন সেই অনুষ্ঠান দেখতে।


পরদিন আমি রেডিও অফিসে গেলাম। ৬নং স্টুডিওতে রিহার্সাল এবং সেদিন সন্ধ্যায় ওখানেই অনুষ্ঠান হবে। রিহার্সাল শেষ করে আমার বের হওয়ার মুহূর্তে একজন তার পাশেরজনকে বললেন—‘এরাই আগামী দিনের গানের ভবিষ্যৎ।’


কথাটা এখনো কানে বাজে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি যিনি আমার গানে গিটার বাজিয়েছিলেন, মুখে দাড়ি, কিন্তু সুন্দর চেহারার স্মার্ট এক যুবক। তিনি আর কেউ নন, আমাদের সংগীতাঙ্গনের তথা দেশের গর্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক, সদ্য প্রয়াত শ্রদ্ধেয় সুজেয় শ্যাম দাদা। তখন তার সাথে সামান্য কথা হয়েছিল। জেনেছিলাম, তিনি যন্ত্রশিল্পী হয়ে চট্টগ্রাম রেডিও থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় এসেছেন।



তখন থেকেই রেডিওতে ছোটদের আসরে নিয়মিত অনুষ্ঠান শুরু করলাম। শিমুল বিল্লাহ (ইউসুফ), শেলু বড়ুয়া, আবিদা সুলতানা, পিয়ারু, নাশিদ কামাল, মিলি, বিনু আরও অনেকে। তখন শ্যামদা’র সুরে অনেক গান করেছি। আগের দিন রিহার্সাল করে পরদিন সরাসরি রেডিওতে গাইতে হতো।


এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতার ৫৭/৮, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে দেখা হলো শ্যামদা’র সাথে। ওখানে তো সবার থাকার জায়গা হয়নি। উনি ছিলেন। দেখা হলো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে এবং আরও যারা ছিলেন—তাদের মধ্যে শ্রদ্ধেয় সমর দাস, অজিত রায়, মো. আব্দুল জব্বার, রথীন্দ্রনাথ রায়, আপেল মাহমুদ, কাদেরী কিবরিয়া, অরূপ রতন চৌধুরী, মান্না হক, সরকার ফিরোজ উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন।


আমার সাথে আগে থেকে সখ্যতা ছিল, পারিবারিক সম্পর্ক ছিল অজিতদা’র। তিনি আমাদের বাসায় নিয়মিত আসতেন। আমার দুই দিদিকে রবীন্দ্রসংগীত শেখাতেন। আর সাংবাদিক ও গীতিকার আবিদুর রহমান ভাইয়ের ধানমন্ডি ৫নং রোডের পূর্ব দিকে গ্রিন রোড সংলগ্ন প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান কালচারাল একাডেমিতে কাদেরী কিবরিয়া এবং অরূপ রতন চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ হতো এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা গান গাইতাম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও