
‘এক বৃন্তে দু’টি কুসুম’
সেই ১৯৪৯ সালে ক্লাস ফোরে পড়ার সময় কবিতাটি আমাদের পাঠ্যসূচিতে ছিল। তখনকার প্রায় সব গল্প-কবিতাই ছিল হিতোপদেশমূলক। আর গল্প বা কবিতার শেষে সন্নিবেশিত থাকত গুটিকতক প্রশ্ন, যার ভেতর একটি প্রশ্ন ছিল প্রায় অবধারিত : গল্পটি/কবিতাটি পাঠ করিয়া কী শিক্ষা পাইলে?
জীবনের সেই ঊষালগ্নে যা-ই পাঠ করতাম তা একেবারে মর্মমূলে গেঁথে যেত। যে শিশুপাঠ্য কবিতাটির কথা বলছি, সেটি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা।
শুরুর দিকের দু’টি চরণ সব সময় আওড়াতে আমার খুব ভালো লাগে। শুরুর সেই চরণ দুটি হচ্ছে : ‘মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান/মুসলিম তার নয়নমণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।’ শুধু আওড়ানো নয়, আমি কথাগুলো মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আজ থেকে প্রায় তিন দশক আগে একটা নাতিদীর্ঘ কবিতা লিখেছিলাম, যার শিরোনাম ছিল : ‘মানুষের আদি পরিচয়’।