সাইবার বুলিং কাদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলে
বেড়েই চলেছে সাইবার বুলিং
বিনোদন থেকে শুরু করে পড়াশোনার জন্যও শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনকার সময়ের একটা বড় অংশ কাটে ইন্টারনেটে। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে ইন্টারনেটের পরিসরও এখন অনেক বড়। কৌতুক করার নামে ট্রল, আক্রমণাত্মক মিম, বডিশেমিং, মিথ্যাচার, অনলাইনের দুনিয়ায় দল বেঁধে চেহারা ও অন্যান্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে কটু কথা বলা—এমন সব ঘটনা বেড়েই চলেছে।
‘বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রেন্ড ২০২৩’–এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে রিপোর্ট করা সাইবার অপরাধের মধ্যে ৫২ শতাংশই ছিল সাইবার বুলিং। আর এর বড় একটা অংশের শিকার হলো স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী। সাইবার বুলিং এমন ব্যাপক আকার ধারণ করার পেছনে রয়েছে সামাজিক আর মনস্তাত্ত্বিক কারণ। যেমন ধর্মের অপব্যাখ্যা, অতিরিক্ত রক্ষণশীলতা, সংবেদনশীলতা ও শিক্ষার অভাব ইত্যাদি। এ ধরনের হয়রানির সবচেয়ে ভয়ানক ফল হলো মানসিক বিপর্যয়। হতাশা, মানসিক চাপ, হীনম্মন্যতা, আত্মবিশ্বাসহীনতা ও একাকিত্বসহ বিভিন্ন মানসিক রোগে ভোগেন ভুক্তভোগীরা। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসও কমে যায়। যে কারণে তাঁদের সামাজিক আচরণও বদলে যায়।
বুলিংয়ের শিকার শিশু-কিশোরদের মানসিক এই অবস্থা সব সময় বাইরে থেকে বোঝাও যায় না। অথচ মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, আত্মসম্মানের অভাব ও একাকিত্বের মতো সমস্যা তাঁদের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলে যায়। একজন কিশোর বা কিশোরীর জন্য এ ধরনের মানসিক চাপ অত্যন্ত ক্ষতিকর। কেননা এগুলোর সঙ্গে ‘বোঝাপড়া’ বা পাত্তা না দেওয়ার মতো মানসিক পরিপক্বতা এই বয়সে তাঁদের ভেতর থাকে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর স্বাভাবিক বিকাশ। এগুলো কখনো কখনো তাদের মধ্যে প্রতিহিংসার মনোভাব তৈরি করে। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক হলো, সাইবার বুলিংয়ের কারণে আত্মহননের পথও বেছে নেন কেউ কেউ।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- সাইবার বুলিয়িং