গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের অর্জন সামান্য
প্রথম আলো: এক বছর আগে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার শিশুসহ ৪১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আমরা জানি, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে হামাসের হামলায় সহস্রাধিক ইসরায়েলি নিহত ও দুই শতাধিককে জিম্মি করার ঘটনার পর এই অসম যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। এত মানুষের প্রাণহানির পর এই যুদ্ধের ফলাফল কী দাঁড়িয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
গিডিয়ন লেভি: এককথায় বললে, গাজা যুদ্ধ থেকে ইসরায়েল কিছুই অর্জন করতে পারেনি; বরং সম্পূর্ণ এক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে, শিশু, নারীসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। গাজায় ঘরবাড়ি, স্কুল-হাসপাতালসহ যাবতীয় অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সেখানকার মানুষ যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরা অনাহার, অপুষ্টি ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাঁরা অমানবিক জীবন যাপন করছেন।
প্রায় এক বছর আগে গাজা অভিযান শুরুর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলের নেতারা বলেছিলেন যে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল ও হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের সবাইকে উদ্ধার করা হবে। এটা ঠিক যে সামরিকভাবে হামাস অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করছে যে হামাসের সামরিক শক্তি নিঃশেষ। এখন তাই গেরিলা কায়দায় লড়তে চেষ্টা করছে।
কিন্তু হামাস রাজনৈতিকভাবে আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়েছে। আবার ২৫৫ জন জিম্মির মধ্যে ১৫৪ জনকে মুক্ত করে আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি ১০১ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। বস্তুত, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে, যদিও আইনি সংজ্ঞা অনুসারে এটি হয়তো গণহত্যা হিসেবে অভিহিত হওয়ার শর্তগুলো পূরণ করেনি।