ওজন কমাতে খাওয়ার লোভ সামলানোর উপায়
শরীরের অতিরিক্ত মেদ-ভুঁড়ি কমাতে খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। তবে বিভিন্ন খাবারের ক্রেভিংস বা লোভের কারণে অনেকেই ওজন কমাতে হিমশিম খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ভালো ঘুম না হওয়া কিংবা মানসিক চাপের কারণেও মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত খাওয়ার চাহিদা বাড়ে।
অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা স্থূলতার অন্যতম কারণ। আসলে খাওয়ার লোভ সামলানো ততটা সহজ নয়। বিভিন্ন খাবারের প্রতি সবারই ক্রেভিংস বা লোভ থাকে। বিশেষ করে জাঙ্ক ফুড ও মিষ্টি খাবারের প্রতি সবারই লোভ থাকে। আর এসব খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে ক্ষুধাও বেড়ে যায়। এই অভ্যাস শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
কীভাবে খাওয়ার লোভ কমাবেন?
দুশ্চিন্তা কমান
২০১৫ সালে ৬১৯ জনের উপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে মানুষের খাওয়ার আকাঙ্খা বাড়িয়ে দেয়। এর কারণ হলো, দীর্ঘস্থায়ী চাপ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত হরমোন স্তরের ক্ষতি করতে পারে।
নিজেকে সময় দিন
পছন্দের কোনো খাবার দেখলে খাওয়ার আগে নিজের কথা ভাবুন। এক্ষেত্রে নিজেকে সময় দিন ও ভাবুন যে ওই খাবার খাওয়া আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছে করলে কয়েকটি খেজুর বা কিশমিশ মুখে নিয়ে চিবাতে থাকুন। দেখবেন ক্রেভিংস কমে যাবে।
শরীরের দিকে খেয়াল রাখুন
আপনি যদি স্থূলাকায় হন তাহলে যে কোনো লোভনীয় খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই দুবার ভাবুন। মেনোপজের সময় নারীদের মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি লোভ বাড়ে। কারণ তখন শরীরের চিনির প্রয়োজন হতে পারে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- লোভ
- ওজন কমানো
- খাবার খাওয়া