অন্তর্বর্তী সরকার যদি ব্যর্থ হয়...

www.ajkerpatrika.com মহিউদ্দিন খান মোহন প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৪২

সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে অনেকেই অনুমান করছেন, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত ও বিপর্যস্ত করার একটি সূক্ষ্ম প্রয়াস ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সদ্য ক্ষমতাহারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও সাড়ে ১৫ বছর বৈধ-অবৈধ সুবিধাভোগী শ্রেণিটি সংগত কারণেই অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপর্যস্ত করতে চাইবে। তবে এ সরকার ব্যর্থ হলে তার ফলাফল কী দাঁড়াবে, তা অনুধাবন করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে।


ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার স্বাভাবিক কোনো সরকার নয়। একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। কেউ যদি সংবিধানের ধারা-উপধারায় এই সরকার গঠনের ভিত্তি খুঁজতে যান, তাহলে তাঁকে হতাশ হতেই হবে। কেননা, যে প্রক্রিয়ায় এই সরকার গঠিত হয়েছে, সংবিধানের কোথাও তার উল্লেখ নেই। তবে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ বা প্রয়োজনের অনিবার্যতার সূত্র অনুযায়ী কখনো কখনো রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রশ্নে জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমাদের সুপ্রিম কোর্ট সে সিদ্ধান্তই দিয়েছেন।


ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার গঠনের আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির মতামত চেয়েছিলেন। মাননীয় প্রধান বিচারপতি সাংবিধানিক শূন্যতা রোধকল্পে অন্তর্বর্তী একটি সরকার গঠনের পক্ষে অভিমত দিয়েছেন। সুতরাং এই সরকারের আইনি ভিত্তি বলতে সুপ্রিম কোর্টের ওই রেফারেন্স। আর দ্বিতীয় ভিত্তি হলো জনসাধারণ, যারা সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে ৫ আগস্টের ছাত্র- জনতার গণ-অভ্যুত্থানের জন্ম দিয়েছে।


এটা তো স্বীকার করতেই হবে যে একটি সরকারের বিরুদ্ধে এমন সর্বাত্মক গণ-অভ্যুত্থান আমাদের দেশে খুব একটা হয়নি। পাকিস্তান আমলে ১৯৬৯ সালে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কিংবা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে আরেক স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এ বছরের ৫ আগস্ট সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের রয়েছে বিরাট পার্থক্য। ওই দুটি গণ-অভ্যুত্থানেও ব্যাপক জনগণের সমর্থন ছিল, এটা ঠিক। তবে এবার যেভাবে সর্বস্তরের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল, তেমনটি আগে কখনো দেখা যায়নি। আগের দুটি গণ-আন্দোলন বা গণ-অভ্যুত্থানে ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও এবার ছাত্র-যুবক ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী, নিরীহ ক্ষুদ্র দোকানদার, রিকশাচালক এমনকি সাধারণ গৃহবধূরা পর্যন্ত রাজপথে নেমে এসেছিলেন। আর এই গণ-অভ্যুত্থানই অন্তর্বর্তী সরকারের ভিত্তিভূমি। সুতরাং যাঁরা বলার চেষ্টা করছেন, এই সরকারের কোনো ভিত্তি নেই, তাঁরা ভ্রান্তিবিলাসে ভুগছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও