কেমন জীবন কাটান পোশাক শ্রমিকরা
ভোরের আবছা আলো। আলো তো নয় যেন আলো-আঁধারের লড়াই। রাজধানীর ঢাকার গা ঘেঁষে গড়ে উঠা শিল্পশহর আশুলিয়ার বাতাস প্রতিদিনের মতো বয়ে আনে নতুন দিনের আশা।
খানিক বাদেই সেলাই মেশিনের ছন্দময় শব্দে ভরে উঠবে এখানকার বাতাস। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশে এটি আরেক দিনের সূচনা।
কিন্তু, কারখানার যন্ত্রগুলো গর্জে ওঠার আগেই শুরু অন্য লড়াই। হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক দলবেঁধে বের হচ্ছেন ঘর থেকে। গন্তব্য—কারখানা।
ধোঁয়াশার দেয়াল ভেদ করে সূর্যের প্রথম আলো মাটি ছুঁতেই টিনের ছাউনি দেওয়া খুপরিঘর থেকে বের হলেন ৩০ বছর বয়সী পোশাক শ্রমিক রুবিয়া আক্তার।
ধুলোমাখা পথে দ্রুত পায়ে হাঁটছেন তিনি। পথ চলার ছন্দই যেন বুঝিয়ে দেয় সেলাই মেশিনের পেছনে তার কেটেছে অনেক বছর।
সূর্য দিগন্তরেখা স্পর্শ করার আগেই শুরু হয়ে যায় রুবিয়ার দিন। বিশ্বব্যাপী ফ্যাশনশিল্পের বিপুল চাহিদা মেটাতেই তার এত তাড়া।