চীনের ‘গানবোট কূটনীতিতে’ প্রতিবেশীরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই ঝুঁকছে

প্রথম আলো সাইমন টিসডাল প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৪

মানুষের আশ্রয়হীনতার কথা বলতে গিয়ে এই পৃথিবীতে যে কেউই বলতে পারেন, ‘মৃত্যু আর কর ছাড়া আর কিছুই পৃথিবীতে নিশ্চিত নয়।’ কেউ কেউ বলে থাকেন, আমেরিকান কথাসাহিত্যিক বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন প্রথম এই শব্দবন্ধযুক্ত প্রবাদটি প্রথম উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু সম্ভবত ১৭১৬ সালে ক্রিস্টোফার বুলকের প্রহসন নাটক প্রেসটনের মুচি-এর ভাঁড় চরিত্র টবি গজলের মুখে প্রথম এই শব্দবন্ধ শোনা গিয়েছিল।


গজলের প্রতি সব শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, যুদ্ধ হচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় অনিবার্য বাস্তবতা। বর্তমান বিশ্বে লেবানন, ইউক্রেন ও সুদানের মানুষেরা সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। চীনের সম্প্রসারণবাদী শাসকেরা দক্ষিণ চীন সাগরের অশান্ত জলরাশিকে আবার যুদ্ধের পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছে। উপকূলীয় দেশ ফিলিপাইন ও জাপানকে বেইজিংয়ের আগ্রাসনের মুখে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে।


অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সংঘাত এড়ানোর কোনো পথ নেই। সত্যি বলতে কি, সেটা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পশ্চিমা নিরাপত্তা কৌশলের মূল কেন্দ্রে রয়েছে, তাইওয়ানকে চীন দখল করে নেবে এই হুমকি। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমাদের জন্য আরেকটি মূল উদ্বেগ। দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্ককে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়, কিন্তু সেটা কোনো অংশেই কম উদ্বেগ নয়।



ঠিক কেন ও কোন উদ্দেশ্য থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিবেশীদের প্ররোচিত করে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, সেটা এখন পর্যন্ত একটা ধাঁধা। সি চিন পিংয়ের কর্মকাণ্ডগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় মগজহীন সাম্রাজ্যবাদী লর্ড পামারস্টনের ‘গানবোট কূটনীতি’ আজও শেষ হয়নি।


সি চিন পিং কেন দক্ষিণ চীন সাগরে উপনিবেশ স্থাপন করতে চান, তার কারণগুলো অনুধাবন করা কঠিন নয়। চীন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনেই, ফিলিপাইন ও তাইওয়ানকে ঘিরে থাকা বিস্তীর্ণ যে জলরাশি সেখানটা তেল, গ্যাস ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ এবং মাছে সমৃদ্ধ ভান্ডার। এর বেশির ভাগটাই এখনো অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগর বিশ্বের একটা গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পথ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে পরাশক্তির দ্বন্দ্ব তীব্র হচ্ছে, সেই বিবেচনায় এই সমুদ্রপথটি চীনের প্রতিরক্ষার জন্য কৌশলগত দিক থেকে প্রধানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।


আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে, অন্য দেশগুলোর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে এবং বিতর্কিত দ্বীপগুলোর ওপর প্রতিদ্বন্দ্বীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে চীন বলে চলেছে, প্রায় পুরো এলাকার ওপর সার্বভৌম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইতিহাস তাদের পক্ষে রয়েছে।


২০১২ সালে সি চিন পিং ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমাগতভাবে সংঘাতপ্রবণ হয়ে উঠেছে। ২০২২ সালে চীনের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন রদ্রিগো দুতার্তেকে হারিয়ে ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পশ্চিমাপন্থী মার্কোস জুনিয়র।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও