দিশাহারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা, ব্যতিক্রম চাঁদপুর জেলা আ. লীগের সভাপতি
গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় চাঁদপুরেও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের দুই-তৃতীয়াংশ এখন এলাকা ছাড়া হয়ে খুবই বেকায়দায় রয়েছেন। তারা অভিভাবকশূন্যতায় বলতে গেলে দিশাহারা অবস্থায় রয়েছে।
দলের অনেকেই বলছেন, পঁচাত্তরের পরও দল এতটা বিপর্যয়ে পড়েনি। দলের নেতাকর্মীরা এখন ঘরবাড়ি ছাড়া। হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে চরম বিপর্যয় এবং বেকায়দায় তারা। বিশেষ করে গত ১৫ বছর ৬ মাস দলের যারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন, তারা যেমনি বিরোধী দলগুলো এবং জনগণের রোষানলে পড়েছেন, তেমনি ক্ষমতাসীন দলের বঞ্চিত নেতাকর্মীদের রোষানলেও তারা পড়েছেন। এমন রোষানলে পড়ার কারণ হলো— ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করা, ক্ষমতার উত্তাপে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা, দলের বড় অংশ নেতাকর্মীকে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা।
এমন অভিভাবকহীনতায় চরম বেকায়দায় এবং দিশাহারা অবস্থায় আছে এখানকার আওয়ামী লীগ পরিবার। ৫ আগস্টের পর চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে ব্যাপক হারে। এমনকি অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। তবে এই অগ্নিকাণ্ড ৫ আগস্টের আগে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসায় দুই-দুইবার আগুন দেওয়ার জেরই মনে করেন সচেতন মহল।
- ট্যাগ:
- রাজনীতি
- রাজনৈতিক দল
- বিপর্যয়
- দিশেহারা
- আওয়ামী লীগ