সরকারের অস্পষ্ট ভরকেন্দ্র এবং ক্রস রোডে রাজনীতি

সমকাল মোশতাক আহমেদ প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১১

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনীতিকে এমন এক ক্রস রোডে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, যা আগে কখনও ঘটেনি। এমনকি একাত্তরেও না। একাত্তরে পথটা ছিল দুর্গম ও কঠিন; কিন্তু লক্ষ্য ছিল সুনির্দিষ্ট ও একমুখী। জানা ছিল পথের শেষে কী আছে। পৌঁছতে না পারলে কী হবে, তাও জানা ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের বাস্তবতা ভিন্ন। একাত্তরের লড়াইটা ছিল বিদেশি আধা ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে। এবারের লড়াইটা হলো দেশীয় কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। লড়াইয়ের এই চরিত্রগত পার্থক্যই বর্তমান পরিস্থিতির সমীকরণকে করে তুলেছে জটিল। সেই জটিলতার আবর্তে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে দেশ তথা দেশের রাজনীতি।


ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থানের তোড়ে ভেসে যায় শেখ হাসিনার ১৫ বছরের সাজানো ভুবন, তাতে দৃশ্যত একক নেতৃত্ব ছিল না; না কোনো দল, না কোনো নেতা। চরম ডান থেকে চরম বাম; সবার অংশগ্রহণেই ছাত্র আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। সময় ও পরিস্থিতির দাবিতে নানামুখী অংশীজন এক মোহনায় এসে মিললেও আন্দোলনের সাধারণ গন্তব্য না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর ভরকেন্দ্র খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।



এদিকে গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। দলের শীর্ষ ব্যক্তি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ইতোমধ্যে দলের প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় নেতা গা-ঢাকা দিয়েছেন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন। আগামী দিনে দলটির অবস্থা কী দাঁড়াবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মাঠে অনেক গুজবই ঘুরছে। ভবিতব্যই বলবে কী অপেক্ষা করছে দলটির জন্য। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ের মতো ঘুরে দাঁড়াবে, নাকি মুসলিম লীগের মতো ইতিহাসের কানাগলিতে ঠাঁই নেবে, তা কেবল সময়ই বলতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও