আজ বাইরে খাওয়ার দিন
মনে পড়ে চড়ুইভাতি–শৈশব। খোলা মাঠ, নদীর তীর কিংবা ছায়াঢাকা গাছের নিচে পাড়ার শিশু-কিশোরদের প্রীতিভোজনোৎসব। অঞ্চলভেদে টুলাপানি, ভুলকাভাতসহ নানা নামে পরিচিত এই উৎসব, যা কালের বিবর্তনে কমে গেলেও একেবারে হারিয়ে যায়নি। গ্রামাঞ্চলে চড়ুইভাতি উৎসবের দেখা মেলে এখনো। হাঁপিয়ে ওঠা শহুরে মানুষও সময়-সুযোগ পেলেই সদলবল বেরিয়ে পড়ে। নিবিড় কোনো বনাঞ্চল বা পাহাড়ের গায়ে চলে রান্নাবান্না আর খাবারের আয়োজন।
অবশ্য আদুরে ‘চড়ুইভাতি’ শব্দটি এখন হয়ে গেছে পিকনিক বা বনভোজন। তবে দুয়ের মধ্যে তফাতও আছে। সাধারণত পাড়া–মহল্লার ছেলেপুলেরা মিলে বাড়ির আশপাশেই চড়ুইভাতির আয়োজন করে থাকে। কেউ বাড়ি থেকে নিয়ে আসে চাল, কেউ ডাল। কেউ নিয়ে আসে ডিম, মুরগি বা অন্য কোনো উপকরণ। আর বনভোজন সাধারণত দূরে কোথাও, কোনো পূর্বনির্ধারিত পিকনিক স্পটে আয়োজন করা হয়ে থাকে। তাতে প্রত্যক্ষভাবে উপকরণ-উপাদানের যোগ নেই। চাঁদা দিয়ে অংশগ্রহণ করতে হয়।
- ট্যাগ:
- জটিল
- বিচিত্র দিবস