দুর্যোগ আল্লাহর পরীক্ষা, চাই ধৈর্য ও সহযোগিতা
আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন সময় নানা বিপদ-আপদ ও বালা–মসিবতের মাধ্যমে মানুষের ইমান, আমল ও নির্ভয়তার পরীক্ষা নেন।
কোরআন মাজিদে আছে, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জানমাল ও ফল–ফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও, যারা নিজেদের বিপদের সময় বলে “নিশ্চয় আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী”; তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও করুণা এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)।
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে পৃথিবী ভারাক্রান্ত হলে; প্রাকৃতিক দুর্যোগ তথা ঝড়, ভারী বর্ষণ, সাইক্লোন, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি-খরা-শুষ্কতা, প্রবল বাতাস, ভূমিকম্প, সাগরের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়া, নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করা, দুর্ভিক্ষ, মহামারি, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, শৈত্যপ্রবাহ, দাবদাহ, অগ্ন্যুৎপাত, লাভা উদ্গিরণ, সম্পদহানি, প্রাণহানি, বরকতশূন্যতা, ক্ষতির প্রাবল্য প্রভৃতি দেখা দেয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় প্রকাশ পায়। যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাদের কিছু কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদন করান, যাতে তারা (সুপথে) ফিরে আসে।’ (সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৪১)
‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদ–আপদ আপতিত হয়, তা তোমাদেরই কর্মফল। তিনি অনেক গুনাহ মাফ করে দেন।’ (সুরা-৪২ শূরা, আয়াত: ৩০)
‘আর কী ব্যাপার! যখন তোমাদের ওপর মসিবত এল, যার দ্বিগুণ (অপরাধ) তোমরা ঘটিয়েছ, তখন তোমরা বললে, “এটা কোত্থেকে এল!” (হে নবী!) আপনি বলে দিন, এ তো তোমাদের পাপ থেকেই; নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়েই সর্বশক্তিমান।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ১৬৫; তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন, পৃষ্ঠা: ৬৭৫৩)
- ট্যাগ:
- ইসলাম
- মতামত
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ