দুর্নীতি বড় চ্যালেঞ্জ, পুরো অটোমেশনেই সমাধান
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিশেষ বিশেষ শিল্পগ্রুপকে সুবিধা দেওয়া, অটোমেশন করতে না পারা ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সংস্কারের কথা বলেছেন প্রায় সবাই। তবে তা আলোচনাতেই থেকেছে। অদৃশ্য কারণে এনবিআরে প্রয়োজনীয় সংস্কার হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, এনবিআরে অটোমেশন ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধ করাই সংস্কারের পথে বড় চ্যালেঞ্জ।
সম্প্রতি ক্ষমতার পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চেহারা পাল্টানোর চেষ্টা করছে এনবিআর। প্রতিষ্ঠানটিতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এনবিআরে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কর ফাঁকি প্রতিরোধে আলোচিত শিল্পগ্রুপ এস আলম, বেক্সিমকোসহ ছয়টি বড় প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে সংস্থাটি। কর ফাঁকিবাজদের ধরতে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। নিজ প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি বন্ধ করতে কড়া বার্তা দিয়েছেন এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেছেন, সংস্কারের পদক্ষেপ হিসেবে এনবিআরকে স্বয়ংক্রিয় বা অটোমেশন করা হবে। কেউ যদি নিয়মনীতি না মানেন তাহলে তাকে এনবিআর ছাড়তে হবে।
১২ বছর ধরে হয়নি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করার পরও রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। বরং ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১৫৭ কোটি টাকায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য কমিয়ে ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। সেখানে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট সব মিলিয়ে আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। এর আগের ১১টি অর্থবছরও গেছে একই ধারায়।