প্রতিকূলতার মধ্যে দূরে তাকানো ভাষণ
সরকার পরিবর্তন হলেই আশায় বুক বাঁধেন অনেকে। পেশাগতভাবেও কিছু দাবি আদায়ের প্রয়াস দানা বেঁধে ওঠে। এতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রবণতাও দেখা যায়। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এমনটা দেখেছি। দলীয় রাজনৈতিক সরকারের আমলে গুরুত্ব না পেয়ে অনেকে হয়তো ভাবেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেশি সহানুভূতিশীল হবে। তবে এবার যে সরকার এসেছে, সেটি ‘তত্ত্বাবধায়ক’ নয়। এটি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তাদের ‘প্রাথমিক নিয়োগদাতা’। সরকারটি সেনাসমর্থিতও বটে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাতে নজিরবিহীন রক্তক্ষয়ী এ আন্দোলনের বিজয় অর্জন কিছুটা সহজ হয় শেষদিকে। তবে এ প্রেক্ষাপটে গঠিত সরকারকে শুরু থেকেই যেভাবে বিভিন্ন গোষ্ঠীর দাবিদাওয়ার মুখে পড়তে হলো, তা দুর্ভাগ্যজনক। দাবিগুলোর বেশির ভাগই হয়তো ন্যায়সংগত। তবে এমন তো নয়, এসব দাবি পূরণই সরকারের প্রাথমিক কাজ; বাকিটা পরে!