জুলাই হত্যাকাণ্ড: যত গুম–খুনের বিচার আইসিটির মাধ্যমেই যুক্তিযুক্ত

প্রথম আলো উম্মে ওয়ারা প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৪:১৮

‘স্যার, গুলি করলে মরে একটা, আহত হয় একটা, একটাই যায়, বাকিগুলা যায় না। এইটাই হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের আর দুশ্চিন্তার বিষয়।’


জনগণের রক্ষক পুলিশ তাঁর ‘স্যার’, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে শহীদ ছাত্রের মরে পড়ে থাকা ভিডিও দেখাতে দেখাতে যখন এই কথাগুলো বলছিলেন, তা শোনার পর আপনি যে দল-মত বা আদর্শের লোকই হন না কেন, সেই রক্ষকরূপী ‘ভক্ষক’ আর তাঁর ‘স্যার’-এর বিচার না চেয়ে পারবেন না।


শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান দমন করতে গত ১৬ জুলাই থেকে যেভাবে নির্বিচার আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রী ও অন্যদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, যেভাবে হাজার শিক্ষার্থীকে আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়েছে, শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, তার পুরো দায় সদ্য পতিত শেখ হাসিনা সরকারের।


অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর জনগণের যে আকাঙ্ক্ষাটি সবচেয়ে জোরালোভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তা হচ্ছে গত ১৫ বছরে এই সরকার আমলে খুন ও গুমসহ এ ধরনের যত অপরাধ হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার।



এ ধরনের ঘটনাগুলোর মধ্যে গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের শহীদ হওয়াদের হত্যার বিচার এবং গত ১৫ বছরের গুম ও খুনের ঘটনাগুলোর বিচার সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে। এসবের বিচার কোন আইনি প্রক্রিয়ায়, সেই বিষয়টি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।


নানা মতামতের মধ্যে যে দুটি প্রতিষ্ঠানের কথা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে, তা হলো ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন (আইসিটি) এবং ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এ ছাড়া আলোচনায় আছে গণতদন্ত কমিশন এবং ট্রুথ কমিশনের কথা।


১৯৭৩ সালের আইনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণভাবে বিচারকাজ করা সম্ভব, যেমনটি হয়েছিল ২০১০ সালে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে যাঁরা মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের মতো অপরাধ করেছেন, তাঁদের বিচারকাজ শুরু হয় এই আইনের মাধ্যমে।


এই আইনের অধীনে গঠিত ট্রাইব্যুনাল দুটির রায় নিয়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু এরপরও গত সরকারের সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ ও ফোর্স ডিজঅ্যাপেয়ারেন্স বা গুমের ঘটনাগুলোর বিচার এই আইনে করা সম্ভব।



এই আইনটিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞার ক্ষেত্রে যেমন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা হয়েছে, ঠিক তেমনি সংশোধনীর মাধ্যমে ২০১১ সালে ‘ভিকটিম’-এর সংজ্ঞাও যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু যে কয়টা বিষয় নিয়ে সমালোচনা হয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ছিল, ট্রাইব্যুনালের বেশির ভাগ প্রসিকিউটরদের আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে আগের কোনো একাডেমিক বা বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাব। যে কারণে প্রতিটি মামলার যুক্তি তৈরি এবং ট্রাইব্যুনালের সামনে পেশ করার ক্ষেত্রে তাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে।


এখন যদি আবার এই আইনের অধীনে বিচার শুরু হয়, তাহলে ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক আইনে অভিজ্ঞদের বিচারক, তদন্তকারী ও প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।


যোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রসিকিউটরদের প্রয়োজন আরও যে কারণে জরুরি, তা হচ্ছে এই আইনে প্রত্যেক প্রসিকিউটরকে মামলা তদন্ত করার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে (ধারা ৮ (২)। এই আইনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ‘ট্রায়াল ইন এবসেনশিয়া’ (ধারা ১০ এ) অর্থাৎ কোনো অভিযুক্ত পলাতক থাকলেও তাঁর বিচার করা সম্ভব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও