গর্ভকালীন ডায়াবেটিস

ঢাকা পোষ্ট ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৪৩

মানুষের কিছু কিছু অসংক্রামক দীর্ঘস্থায়ী রোগ দেখা দেয়, তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বিশেষ এক ধরনের ডায়াবেটিস, যা কেবল গর্ভকালেই হয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের রক্তে সুগারের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেড়ে গেলে তাকে গর্ভকালীন বা জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস মেলিটাস [Gestational Diabetes Mellitus (GDM)] বলা হয়।


ইনসুলিন এক ধরনের হরমোন, যা অগ্ন্যাশয়ে তৈরি হয়। এটি শরীরকে রক্তের গ্লুকোজের লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যদি শরীর যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।


হরমোনের লেভেল ও নতুন শারীরিক পরিবর্তনের কারণে মায়ের শরীর সঠিক পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস দেখা দেয়।



গর্ভকালীন কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর খালি পেটে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৫ দশমিক ১ মিলিমোল/লিটার এবং গ্লুকোজ খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর ৮ দশমিক ৫ মিলোমোল/লিটার হলে তার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে বলে ধরা হয়।


এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা নারীর খালি পেটে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৭ মিলিমোল/লিটার এবং গ্লুকোজ খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর ১১ দশমিক ১ মিলোমোল/লিটার হলে তার ওভার্ট ডায়াবেটিস বা গর্ভধারণের আগে থেকেই ডায়াবেটিস আছে বলে ধরা হয়।


গর্ভকালীন রক্তের যেকোনো পরীক্ষার সময় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা দরকার। এই সময় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নরমাল হলেও গর্ভাবস্থার ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে আবারও ডায়াবেটিস পরীক্ষা জরুরি। সাধারণত গর্ভের প্রথম ১২ সপ্তাহে ডায়াবেটিস ধরা পড়লে, তাদের আগেই ডায়াবেটিস ছিল হিসেবে ধরা হয়। আর গর্ভের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে যদি ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তাকেই বলা হয় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও