শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে টালমাটাল অর্থনীতির ক্ষত কাটিয়ে দ্রুত সব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে, এটাই সবার প্রত্যাশা। শিক্ষার্থী-জনতা আন্দোলন ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ও কারফিউ দেওয়ায় দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষত তৈরি হয়েছে। এ সময় দোকানপাট বন্ধ থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বড় ও মাঝারি কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় শ্রমিকদের বেতন, ব্যাংকের সুদসহ প্রতিদিন কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। বিজিএমইএর একজন নেতা যুগান্তরকে বলেছেন, দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে এবং দেশের কোনো মানুষ যাতে আর্থিকভাবে কষ্ট না পান, সেজন্য সবাইকে সহনশীল হতে হবে। বিজিএমইএর তথ্যমতে, আন্দোলন শুরুর দিকে ৪-৫ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে বিপুল অঙ্কের অর্থের ক্ষতি হয়েছে। বস্তুত দেশের বড় ও মাঝারি শিল্পের উদ্যাক্তারা মনে করেন, যেহেতু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদন বিশেষভাবে ব্যাহত হয়েছে, সেহেতু এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন সূচকে অস্থিরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ সময় দেশের সার্বিক অর্থনীতি নানামুখী সংকটে পড়েছিল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান নানামুখী অস্থিরতার কারণে অর্থনীতিতে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। রাজনৈতিক সংকটে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজেই খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের একটি অন্যতম কারণ হলো ক্ষয়িষ্ণু রিজার্ভ। এর সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।