বিক্ষোভ দমনে যেভাবে ‘রেডলাইন ক্রস’ করা হয়েছে

প্রথম আলো কল্লোল মোস্তফা প্রকাশিত: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৪৬

ক্ষমতার দম্ভ ও জবাবদিহিহীন শাসনব্যবস্থা কী পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, তার সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত হলো কোটা সংস্কার আন্দোলনে অকল্পনীয় নৃশংসতা এবং দুই শতাধিক মানুষ হতাহতের ঘটনা।


কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল একেবারেই শান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলন। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বহাল করে উচ্চ আদালতের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত জুন মাসে যে আন্দোলন শুরু হয়, তা শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশের মধ্যেই সীমিত ছিল। 


কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার আদালতের দোহাই দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়াকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি আলোচনা পর্যন্ত করতে রাজি হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জুলাইয়ের শুরুতে আন্দোলন খণ্ডকালীন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ পর্যায়ে প্রবেশ করে। তখনো আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল।


আন্দোলনে সহিংসতা শুরু হয় ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনার মধ্য দিয়ে।


পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৬ জুলাই ছয় তরুণ নিহত হন। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার পরও সরকারের টনক নড়েনি। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে যদি তখনো সরকার পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগকে মাঠ থেকে তুলে নিয়ে কোটা সংস্কারবিষয়ক দাবির ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করত, তাহলে হয়তো পরবর্তী নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলো এড়ানো যেত।


কিন্তু আমরা দেখলাম, ছয়টি তাজা প্রাণ ঝরে যাওয়ার পরও সরকার বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বলপ্রয়োগের পথ থেকে সরল না। এর ফলে পুলিশ ও সরকার-সমর্থকদের হামলা ও সংঘর্ষে এক সপ্তাহের মধ্যে কমপক্ষে ২১০ জন খুন হলেন, যা বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
■ উচ্চ আদালতের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত জুন মাসে যে আন্দোলন শুরু হয়, তা শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশের মধ্যেই সীমিত ছিল।


■ জনগণ রাষ্ট্রের হাতে বলপ্রয়োগের একচেটিয়া ক্ষমতা দিয়েছে এই শর্তে যে এই বলপ্রয়োগ করা হবে জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায়, জনগণকে হত্যার জন্য নয়। 


■ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করার দাবি উঠেছে। 
নিহত ১৭৫ জনকে নিয়ে করা প্রথম আলোর এক বিশ্লেষণ অনুসারে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী বিক্ষোভ-সংঘর্ষে বেশি নিহত হয়েছেন শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষ। নিহত ব্যক্তিদের ৭১ শতাংশ শিশু, কিশোর ও তরুণ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২২টি শিশু ও কিশোর, যার মধ্যে তিন বছর বয়সী শিশুও রয়েছে। আর ১৮ থেকে ২৯ বছরের তরুণ ১০৩ জন। ১৭৫ জনের মধ্যে শিক্ষার্থী ৪‍৬ জন, অর্থাৎ ২৬ শতাংশ।


নিহত ব্যক্তিদের ১৭৫ জনের মধ্যে সরাসরি রাজনৈতিক-সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ছয়জনের, যাঁদের তিনজন আওয়ামী লীগের ও তিনজন বিএনপি–সংশ্লিষ্ট। নিহত ব্যক্তিদের একটা বড় অংশ শ্রমজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দোকানকর্মী, গাড়িচালক, শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের মানুষ, যা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও অন্যান্য আর্থসামাজিক কারণে ক্ষুব্ধ মানুষকে বিক্ষোভে নেমে আসার ইঙ্গিত দেয়। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও