সংকটে রেস্তোরাঁ ব্যবসা, বিক্রি কমেছে ৫০-৭০ শতাংশ
মতিঝিলে মেট্রোরেল স্টেশনের পাশে একসঙ্গে কয়েকটি অস্থায়ী খাবারের দোকান আছে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এসব হোটেলের নিয়মিত ক্রেতা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে গিয়ে যায়, সব কটি দোকানই ফাঁকা। একটি দোকানের ব্যবস্থাপক ও বাবুর্চি মো. সুমন অলস বসে আছেন।
ব্যবসা কেমন চলছে, জানতে চাইলে মো. সুমন গামছা দিয়ে ঢেকে রাখা পরোটার খামি দেখিয়ে বলেন, ক্রেতা থাকলে তো এগুলো থাকত না। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবার বাবদ ৮-৯ হাজার টাকার বিক্রি হয়। গতকাল (সোমবার) বিক্রি করেছি মাত্র আড়াই হাজার টাকা। অবস্থা এমন যে দুজন কর্মীর বেতন দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন মালিক।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্থায়ী এই খাবারের দোকানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত রেস্তোরাঁগুলোর ব্যবসায়ও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রেস্তোরাঁমালিকেরা বলছেন, কারফিউ জারির প্রথম তিন-চার দিন অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল। এরপর রেস্তোরাঁ খুললেও ক্রেতা তেমন নেই। এখন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেস্তোরাঁভেদে বিক্রি ৫০-৭০ শতাংশ কম। করোনার পর দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি রেস্তোরাঁ ব্যবসার জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা বলে জানান এ খাতের ব্যবসায়ীরা।