‘ইয়াং ছেলে দেখলেই কি ধরে নিয়া যা লাগব’

প্রথম আলো রাফসান গালিব প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১১:২৭

‘রাত একটা। আজিমপুর কলোনি নিশ্চুপ। আধঘণ্টা আগে একটা কল এসেছিল, কোয়ার্টারে কিছু একটা ঘটছে। আরেকটা কল। অনলাইন হয়ে দেখি, কিছু মানুষ অস্থির হয়ে গিয়েছে। বলছে, সাবধান! সাবধান! সাবধান! ঘরের সব বাতি নিভিয়ে দিলাম। বারান্দা থেকে নিচে উঁকি দিয়ে দেখি, রঙের পোশাকে কিছু মানুষ নিঃশব্দে, ধীরপায়ে হেঁটে আসছে। যেন চুপি চুপি কারও কাছে গিয়ে আচমকা ‘ভাউ’ বলে চমকে দিবে। দুইজন, পাঁচজন, বিশজন! আর গুনতে পারলাম না। সমস্ত কলোনি ঘুটঘুটে অন্ধকার, সকল ফ্ল্যাটের বাতি নেভানো। কেমন একটা থমথমে পরিবেশ। হৃদয়হীন দুটো গাড়ি হলুদ বাতি জ্বালিয়ে টহল দিচ্ছে। হঠাৎ কারোর ইন্টারকম বেজে উঠল। মুহূর্তে টেলিফোনের শব্দ আতঙ্কে পরিণত হলো। আমি টেলিফোনের দিকে তাকিয়ে আছি। অস্থির হয়ে অপেক্ষা করছি প্রভাতের। কী ভয়ংকর রাত! কতটা দমবন্ধকর!’


একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজা নোহান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে এ পোস্ট দিয়েছেন। কী সহজ-সরল বর্ণনা; কিন্তু চোখ বুজলেই মনে হয় আতঙ্কে গা শিউরে ওঠে। গা ছমছম ভয়ংকর এক অনুভূতি।


কয়েক দিন ধরে ফেসবুকজুড়ে একের পর এক এমন পোস্ট নিশ্চয়ই অনেকের চোখে পড়েছে। সবখানেই একটি বাক্যের উল্লেখ—কবে হবে ভোর, কবে শেষ হবে রাত।


কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও পরবর্তী সংঘর্ষ-সহিংস পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সরকার সর্বোচ্চ বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সেই আন্দোলন দমন করেছে।


পাশাপাশি মন্ত্রীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি তাঁরা মেনে নিয়েছেন। সেই দাবির মধ্যে ছিল, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সব শিক্ষার্থীকে সব ধরনের রাজনৈতিক, আইনি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মাধ্যমে হয়রানি করা যাবে না।


আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলন করার কারণে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা হবে না। যারা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, সে ব্যাপারে মামলা হবে। শুধু তা-ই নয়, তিনিসহ কয়েকজন মন্ত্রী বলে আসছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, সহিংসতা বা ধ্বংসযজ্ঞে চালায়নি।


কিন্তু আমরা কী দেখছি? রাজধানীসহ গোটা দেশে আন্দোলনকে ঘিরে যেসব মামলা হচ্ছে, সেখানে নাম ধরে ধরে আসামি করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। আরও ভয়াবহ হচ্ছে, একেকটি মামলায় এক-দেড় হাজার করে অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হচ্ছে।


সেই আসামিদের ধরতে রাজধানীর এলাকায় এলাকায় ব্লক রেইড চালানো হচ্ছে। কয়েকটি বাহিনী দিয়ে একেকটি এলাকা ঘিরে ফেলা হচ্ছে। হেলিকপ্টার থেকে সার্চলাইট ফেলে পুরো এলাকা আলোকিত করা হচ্ছে। যেন কেউ সরে পড়তে না পারে। শুধু তা-ই নয়, এ গ্রেপ্তার অভিযান যাতে কেউ তাৎক্ষণিক ফেসবুকে লাইভ করতে না পারে সে জন্য ওই এলাকার ব্রডব্যান্ড লাইনও নাকি কেটে দেওয়া হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও