ঢাকার ৩১ হাসপাতালের তথ্য: আহত ৬ হাজার ৭০৩ জন
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীতে সংঘর্ষ ও সংঘাতে আহত ৬ হাজার ৭০৩ জনের কথা জানা গেছে। তাঁরা ৩১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব রোগী ১৬ থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে হাসপাতালে এসেছেন।
ইটপাটকেল ও লাঠি বা রডের আঘাতে আহত হয়ে কিছু মানুষ হাসপাতালে এসেছিলেন। তবে বেশি মানুষ হাসপাতালে এসেছেন ছররা গুলি, রাবার বুলেট বা বুলেটবিদ্ধ হয়ে। আবার কেউ কেউ এসেছেন কাঁদানে গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে। সাউন্ড গ্রেনেডেও মানুষ আহত হয়েছেন।
রাজধানীতে সংঘর্ষ-সংঘাত শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না। বেশি সংঘর্ষ হয়েছে উত্তরা, বাড্ডা-রামপুরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর-বছিলা, ধানমন্ডি এলাকায়। আহত ব্যক্তিরা এসব এলাকার কাছের হাসপাতালে প্রথমে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে ধারণা করা যায়।
প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা ২৩ থেকে ২৭ জুলাই রাজধানীর মোট ৩৮টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতাল ৯টি, বাকি ২৯টি বেসরকারি হাসপাতাল। তবে ৭টি বেসরকারি হাসপাতাল কোনো তথ্য দেয়নি। যদিও মোট কত মানুষ আহত হয়েছেন, তার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
রোগীদের একটি অংশ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। একটু গুরুতর রোগীকে এক বা দুই দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। এখনো অনেক রোগী হাসপাতালে আছেন। আহতদের কেউ কেউ হাসপাতালেও মারা গেছেন।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া সব আহত মানুষের তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে ঠিকমতো সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতাল চিকিৎসা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে ছেড়ে দিয়েছে। রোগীর নাম, ঠিকানা, বয়স লিখে রাখার সময় ও সুযোগ ছিল না।