‘একজন ফোন ধরে বলল, আপনার ছেলে মরে গেছে’

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৮

‘একজন আমার ছেলের ফোনটা ধরে বলল, আপনার ছেলে মরে গেছে। তারপর সন্দ্বীপ থেকে উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে কেমনে ঢাকা আসছি, নিজেও বলতে পারব না। আমি ছেলে হত্যার বিচার কারও কাছে চাই না, আমি শুধু আল্লাহর কাছে বিচার দেব...।’


মাহাবুবের রহমান এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন। তিনি মাহামুদুর রহমানের (সৈকত) বাবা। ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের মাথায় (মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের দিকে) সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মাহামুদুর রহমান।


গত শুক্রবার নূরজাহান রোডের বাসায় মাহাবুবের রহমান পোষা বিড়াল পুটুকে দেখিয়ে বলছিলেন, ‘এ তো জন্তু-জানোয়ার, ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকে এই বিড়ালও খাওয়াদাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। ছেলের চেয়ারে চুপ করে বসে থাকে।’ মারা যাওয়ার আগে এই বিড়ালের খাবার কিনে রেখে গিয়েছিলেন মাহামুদুর রহমান।


১৯ জুলাই রাজধানী ছিল উত্তাল। সেদিন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন মাহাবুবের রহমান। সেখান থেকে তিনি বারবার ছেলেকে ফোন করে খবর নিচ্ছিলেন। একবার শুধু ছেলে জানিয়েছিলেন, তিনি বাসার পাশে নিজেদের দোকান ‘জেনারেল স্টোরে’ আছেন। তারপর তো অচেনা একজন ফোন ধরে ছেলের মৃত্যুসংবাদ দিলেন। ছেলের মুঠোফোনটি আর ফেরত পাননি। পরিবারের সদস্যরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছেলের মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা রক্তাক্ত লাশ পেয়েছিলেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা ছিল ‘গান শট’। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার মাহামুদুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও