রপ্তানি আয়ের তথ্যে গরমিল কেন?

ঢাকা পোষ্ট সোমা ভট্টাচার্য প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৪, ১০:৩২

সম্প্রতি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে রপ্তানি আয়ের তথ্যের অসামঞ্জস্যতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-এর আকার কমানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।


ধারণা করা হচ্ছে, রপ্তানি আয়ের তথ্য সংশোধন করা হলে বাংলাদেশের জিডিপি-এর আকার প্রায় দুই শতাংশ কমে যেতে পারে। বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রপ্তানি আয়ের তথ্য সংশোধন করার বিষয়টি বিভিন্নভাবে অর্থনীতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলবে।


বর্তমানে রপ্তানি আয়ের তথ্যের যে অসামঞ্জস্যতা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাচ্ছে তা সাধারণ তথ্যগত পার্থক্যের চেয়েও অনেকটাই বেশি।


বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী জুলাই ২০২৩ থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত দশ মাসে ৩৬৬৩৭.৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য জাহাজিকরণ করা হয়েছে যেখানে ইপিবি-এর তথ্য অনুযায়ী একইসময়ে ৪৭৪৭১.৭৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য জাহাজিকরণ করা হয়েছে।


অর্থাৎ দুই প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত একই বিষয়ের তথ্যের ভিন্নতা হয়েছে ১০৮৩৪.৩৭ মিলিয়ন ডলারের। এই ভিন্ন তথ্যের মূল প্রভাব পড়ে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের (Balance of Payments) চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবের ওপর।


রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত রপ্তানি আয়ের তথ্যের অসামঞ্জস্যতার কারণ হতে পারে ভুল পণ্যের তথ্য রপ্তানি খাতে ঢুকে যেতে পারা বা দুইবার গণনা বা একই পণ্য বারবার গণনাতে চলে আসা।


আবার কোনো রপ্তানি পণ্যের উৎপাদনে যে কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় সেগুলো আমদানি করে আনা হলে আমদানি মূল্য হিসাব থেকে বাদ দেওয়া না হলে প্রকৃত রপ্তানির হিসাবে গরমিল দেখা যায়।


এই হিসাবের গরমিলের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ইপিবি-এর প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায় রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩০১০৬.৬২ মিলিয়ন ডলার যেখানে একই সময়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত এই আয়ের পরিমাণ ছিল ২৭৪৫৪.৩০ মিলিয়ন ডলার।


২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের তুলনায় ইপিবি-এর প্রকাশিত তথ্যে রপ্তানি আয় বেশি দেখানো হয়েছে যথাক্রমে ২৭৩২.৩২, ২০৫১.৬৪, ৪০০১.২৪, ৪৫৫৭.৮৪, ৪১৩১.৪৭, ৭১৬১.০৪, ৩৭০৮.০৯, ৪৭৮৯.৩১, ৮৪৮০.৬৬, ১১৯৮৬.৭৭ মিলিয়ন ডলার ।


রপ্তানি আয়ের সঠিক তথ্য একটি দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন দেশের অর্থনীতির আকার হিসাব করা হয় অর্থাৎ যখন দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-এর পরিমাপ করা হয় সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে রপ্তানি আয় যা দেশের অর্থনীতিতে যোগ হয় এবং অর্থনীতির আকার বড় করতে সহায়তা করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও