ভারত কেন পরাশক্তি হয়ে উঠবে

প্রথম আলো ভারত মার্টিন উলফ প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪০

‘আমি এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০৪৭ সালে যখন আমার দেশ স্বাধীনতার ১০০ বছর উদ্‌যাপন করবে, তখন তা হবে উন্নত ভারত।’


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালে দেশটির স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এ কথা উচ্চারণ করেছেন। যে কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, তাঁর এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা কি বাস্তবায়নযোগ্য? উত্তর হলো, হ্যাঁ। এরপর এ প্রশ্নও আসতে পারে, এটা কি যুক্তিসংগত? উত্তর হলো, না।


তারপরও বলতে হয়, ওই সময়ে গিয়ে ভারত একটি পরাশক্তি হয়ে উঠতেই পারে একটি মাপকাঠিতে। আর তা হলো, দেশটির অর্থনীতির আয়তন যদি যুক্তরাষ্ট্রের মতো সুবৃহৎ আকার ধারণ করে। তাহলে ভারত কীভাবে সেখানে গিয়ে পৌঁছবে? দেশটিকে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে? ভারতের এই অর্জন বিশ্বের জন্য কী বয়ে আনবে?


সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক রিসার্চ ও কনজ্যুমার ইউনিটি অ্যান্ড ট্রাস্ট সোসাইটি (কাটস) ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। আমি সেখানে উচ্চ আয়ের দেশ হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভারতকে তুলনা করেছি গ্রিসের সঙ্গে—যে দেশটিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ‘অগ্রসর’ (অ্যাডভান্সড) হিসেবে কাতারভুক্ত করেছে, যদিও এই কাতারে দেশটি দরিদ্রতম।


২০২৩ সালে ক্রয়ক্ষমতার সমতার (পিপিপি) নিরিখে ভারতের মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গ্রিসের এক-চতুর্থাংশের সামান্য নিচে। যদি গ্রিসের মাথাপিছু আয় নামমাত্র শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হারে বাড়ে (১৯৯০-২০২৯ প্রবণতা, আইএমএফের পূর্বাভাস) আর একই সময়ে যদি ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়ে, তাহলে ২০৪৭ সালে গিয়ে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে সেই সময়ে গ্রিসের ৬০ শতাংশ।


যদি ভারতকে গ্রিসের সমপর্যায়ের মাথাপিছু আয় অর্জন করতে হয়, তাহলে তাকে বছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তে হবে। চীন ১৯৯০ থেকে ২০১২ সময়ে যে বিস্ময়কর বার্ষিক ৯ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল, তার চেয়ে কিন্তু এই ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হার খুব কম নয়।


আবার সামগ্রিক আয়তনের ক্ষেত্রে ছবিটা অন্য রকম। জাতিসংঘের পূর্বাভাস বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা হবে ১৬৭ কোটি, যখন চীনেরটা হবে ১৩২ কোটি আর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ কোটি।  চার গুণ বেশি জনসংখ্যা নিয়ে ভারতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমান আকারের অর্থনীতি হওয়া কঠিন কিছু হবে না। এমনকি ভারত যদি ২০৪৭ পর্যন্ত বার্ষিক ৫ শতাংশ হারেও প্রবৃদ্ধি অর্জন করে, যা ১৯৯০-২০২৯ সময়ের বার্ষিক গড় হার ৬ দশমিক ৩০ শতাংশের নিচে, তাহলেও পিপিপির ভিত্তিতে ভারতের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের সমান হয়ে যাবে।  


যুক্তরাষ্ট্র এখনো প্রযুক্তিগতভাবে অনেক অগ্রসর এবং দেশটির উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি। ভারতের শিল্পোৎপাদনের সক্ষমতাও চীনের সমকক্ষ হওয়া থেকে অনেক দূরে। জিডিপিতে চীনের তুলনায় ভারতের শিল্প খাতের হিস্যা শুধু কমই নয়, বরং সম্প্রতি তা কমতে শুরু করেছে। তবে আকার একটা ব্যাপারও বটে। বিপুল জনগোষ্ঠী ও সুবিশাল অর্থনীতি নিয়ে ভারত একটি পরাশক্তি হবে, যা পুরোপুরি চীন বা যুক্তরাষ্ট্রের সমপর্যায়ের হবে না, তবে প্রশ্নাতীতভাবে বিশাল শক্তি হয়ে উঠবে।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও