অ্যালার্জির স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তাহলে করণীয়?
ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন? ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার করছেন? হঠাৎ করেই শুরু হয়ে গেল একের পর এক হাঁচি, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। দুপুরে জমিয়ে খেতে বসেছেন? চিংড়ি, ইলিশ, গরুর মাংস বা দুধ দিয়ে তৃপ্তি করে খাচ্ছেন? খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা। রাতে মশারি টানাতে ভুলে গেছেন? মশার যন্ত্রণায় আর বাঁচা যায় না। পরদিন সকালে উঠে দেখলেন সমস্ত শরীরে মশার কামড়ের দাগের সঙ্গে লাল লাল চাকা। এই যে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা—এ সবকিছুর পেছনে দায়ী হলো অ্যালার্জি।
অ্যালার্জি হলো শরীরের অনাক্রম্যতন্ত্রের একটি অতিসংবেদনশীল দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা, যে ক্ষেত্রে পরিবেশে বিদ্যমান কোনো অ্যালার্জেনের কারণে শরীরে অপ্রত্যাশিত গোলযোগপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অ্যালার্জি হওয়া কিংবা না হওয়া সাধারণত আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। শরীরের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত পরিবেশের নানা উপাদান, যেমন- পরজীবী, ছত্রাক, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। যেটা খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু কখনো কখনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটিই জেনেটিক ত্রুটির কারণে অস্বাভাবিক, অতিসংবেদনশীল কিংবা অপ্রত্যাশিত হয়ে পড়ে—দেখা দেয় অ্যালার্জি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো কোনো ব্যক্তির শরীর আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর নয়, এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি বলা হয়।