কোন বয়সে কীভাবে সঞ্চয় করবেন
সঞ্চয়ী হতে হলে যে আপনাকে কর্মজীবী হতেই হবে, এমন কিন্তু নয়। পেশাগত জীবনে প্রবেশের অনেক আগে থেকেই গড়ে তুলতে পারেন এ অভ্যাস। এমনকি শৈশব থেকেই গড়ে তোলা যায় সঞ্চয়ের অভ্যাস। বড় হওয়ার পরেও এ অভ্যাসের সুফল পাওয়া যায়। তবে এসবের জন্য আগে প্রয়োজন সঞ্চয়ের সদিচ্ছা।
শৈশব-কৈশোর
মাটির ব্যাংকে পয়সা জমিয়ে শখের জিনিস কেনার সুখস্মৃতি আমাদের অনেকেরই রয়েছে। আপনিও সন্তানকে এমন একটা জায়গা নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন, যেখানে সে অর্থ সঞ্চয় করবে। তার শখের কোনো জিনিস কেনার জন্য একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন। জমানো টাকা দিয়ে প্রিয় কোনো মানুষকে সে উপহারও দিতে পারে। শিশু-কিশোরদের আলাদা আয়ের উৎস না থাকলেও টিফিনের টাকা থেকে কিছুটা সঞ্চয় করা সম্ভব। ঈদের সালামি কিংবা বিশেষ দিবসের উপহার হিসেবে পাওয়া অর্থ জমাতে পারে সে। ওই টাকা দিয়ে খাবারদাবার, পোশাক, টুকটাক খেলনা প্রভৃতি না কিনে সে নিজের জন্য জমাতে পারে। দুই ঈদের সালামি জমিয়ে নিজের জন্য একবারে একটু বড়সড় কিছুও কিনতে পারে। এই বয়সে সঞ্চয়ের এ অভ্যাসটাই গুরুত্বপূর্ণ।
যখন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া
উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার পর টুকটাক কাজ করার সুযোগটা কাজে লাগান অনেকেই। খণ্ডকালীন কাজ বা ছোটদের পড়ানোর মতো কাজ থেকে নিজের হাতখরচ মেটানোর পাশাপাশি খানিকটা সঞ্চয়ও করা যেতে পারে এই সময়ে।
ক্যারিয়ারের শুরুতে
এ সময় মোটামুটি একটা ধরাবাঁধা রোজগার শুরু হয়। সাধারণত এ সময়ের আয়ের পরিমাণটা আহামরি কিছু হয় নয়। তবু নিজের খরচ সামলে অনেকেই পরিবারের পাশে দাঁড়ান। সঞ্চয়ের সুযোগ কমই থাকে এই সময়ে। তবু চেষ্টা করুন, যাতে প্রতি মাসে আয়ের ২০ শতাংশ সঞ্চয় করতে পারেন। সঞ্চয়ের লক্ষ্যপূরণ পুরোপুরি সম্ভব না হলেও যতটা পারেন, চেষ্টা করুন। সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করুন। চাকরি পেয়েছেন বা নতুন ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন বলে জীবনের সব অপূর্ণ বাসনা একবারে মেটাতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। আগে গণপরিবহন ব্যবহার করতেন? এখনো সেটাই করুন। বাড়তি ব্যয় করবেন না। নতুন জীবনের আনন্দে ঘন ঘন ‘পার্টি’ দেবেন না। বরং বাজেট করে খরচ করুন। মাসের শুরুতেই সঞ্চয়ের অর্থ আলাদা করে রাখুন।