আপনি কি বাজারে যান?

ঢাকা পোষ্ট প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭

মানুষের মৌলিক অধিকার হলো অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান; এই তিনটির মধ্যে মৌলিকতম হলো অন্ন। উপায় না থাকলে মানুষ খোলা আকাশের নিচে, ফুটপাতে, রেলস্টেশনে, গাছতলায়ও থাকতে পারে। ন্যূনতম বস্ত্রেও মানুষের চলে যায় বা এক পোশাকে অনেকদিন চালিয়ে নেওয়ার উদাহরণও কম নয়।


প্রায় বস্ত্রহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচেও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু খাওয়া ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। যত নিঃস্ব হোক আর হাজার কোটিপতি হোক, দিনে অন্তত তিনবেলা তাকে খেতেই হয়। এখানেই আটকে গেছে বাংলাদেশের মানুষ। দুই বেলা দুই মুঠো খাবার জোগাড় করতেই এখন বাংলাদেশের মানুষের নাভিশ্বাস। বেঁচে থাকাই বড় দায় হয়ে গেছে।


আওয়ামী লীগ টানা চার মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এবার আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন। তারা সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছিলও দারুণভাবে। এটা মানতেই হবে, দেড় দশকে বাংলাদেশের যত উন্নয়ন হয়েছে, আগের পাঁচ দশকেও তা হয়নি।


শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অনেক ইতিহাসের সাক্ষী করেছে বাংলাদেশকে। কিন্তু ধাক্কাটা লাগে করোনা এসে। করোনায় গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই স্থবির হয়ে গিয়েছিল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অর্থনীতিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। সেই চাপ আর কাটিয়ে ওঠা যায়নি।


সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯-এর ওপরে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছাড়িয়ে গিয়েছিল ১০ শতাংশ। তার মানে খাবারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ হারে। কিন্তু মানুষের আয় সেই অনুপাতে বাড়েনি। ফলে সাধারণ মানুষ চরম চাপের মুখে পড়েছে। সরকারের বাজেটেও আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। কিন্তু সরকার দেশি-বিদেশি নানা উৎস থেকে ঋণ নিয়ে তাদের ঘাটতি সামাল দেয়। সাধারণ মানুষের সেই সুযোগ নেই। তাই তাদের চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে।


তাহলে সাধারণ মানুষ টিকে আছে কীভাবে? এই প্রশ্নের আসলে কোনো উত্তর নেই। সব মানুষের বছরের বা মাসের আয়-ব্যয়ের একটা হিসাব থাকে। কিছু খরচ আছে নির্ধারিত। বাসা ভাড়া, সন্তানের পড়াশোনার খরচ, চিকিৎসা ব্যয়, পত্রিকা, ইন্টারনেট, ময়লা ফেলার খরচ, বাসার সহকারীর বেতন—এগুলো হুট করে কমানোর কোনো উপায় নেই। ফলে ব্যয় বাড়ার মূল চাপ পড়ে বাজার খরচে। কিন্তু সেই জায়গায় ব্যয় বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ফলে বাজারে গিয়ে মানুষের দিশেহারা অবস্থা।


আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকেই এক নম্বর অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছিল। বাজেটেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু খালি কথায় চিড়া ভেজে না, ভিজবেও না। কথা হয়েছে অনেক, কাজ হয়নি কিছুই। বাজারে হাহাকার চলছেই। কারও যেন কোনো মাথাব্যথা নেই।


অন্ন মানুষের মৌলিকতম চাহিদা বটে। তবে খাবারেরও অনেক ধরন আছে। মানুষের একদম বেঁচে থাকার জন্য যেমন খেতে হয়। আবার অনেকের কাছে খাবার মানেই বিলাসিতা। কারও এক বিকালের চায়ের আড্ডার খরচ, অনেক পরিবারের সারা মাসের খরচকে ছাড়িয়ে যায়। বিলাসিতার কথা যদি বাদও দেই, সাধারণ মানুষকে তো বাঁচার জন্য হলেও খেতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও