প্রত্যয় স্কিম সরকারের মূল ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করেছে
‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমের’ মতো একটি গ্রহণযোগ ও সময়োপযোগী ধারণাকে সম্প্রতি বিতর্কিত করা হয়েছে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যে কোনো পেনশনের মূল উদ্দেশ্য থাকে কোনো চাকরিজীবীকে অবসরকালে আর্থিক সমর্থন করা। এ বিবেচনাতেই বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকারি ব্যবস্থা চালু আছে। কিন্তু যারা সরকারি চাকরি করেন না, তারাও তো একদিন অবসরে যাবেন, তাদেরও তো জীবনধারণের জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন পড়বে।
তাদের জন্য কিছু করা যায় কিনা এরকম একটি সময়োপযোগী ভাবনা থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট চারটি স্কিম চালু করা হয়, যেগুলোর আওতায় একটি নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ মিলবে। স্কিমগুলো হলো : এক. প্রবাস-যা থেকে প্রবাসীরা পেনশন সুবিধা নিতে পারবেন; দুই. প্রগতি-যা থেকে ব্যক্তি মালিকানাধীন ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশন সুবিধার সুযোগ পাবেন; তিন. সুরক্ষা-যাতে অন্তর্ভুক্ত হবেন স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এবং চার. সমতা-যেখানে থাকবেন নিুবিত্ত ও দরিদ্র মানুষজন।