সামাজিক আস্থার সংকট সৃষ্টি করছে দুর্নীতি

জাগো নিউজ ২৪ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৪, ১৫:১৮

বাংলাদেশে কী প্রায় সব ক্ষেত্রে সামাজিক আস্থার সংকট দৃশ্যমান? ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলে মানুষের আস্থায়। নানা প্রকার দুর্নীতি আর কেলেংকারিতে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক কমে গেছে এখন। সরকারি অফিস গুলোতে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের কারণেও তাদের প্রতি আস্থা কম। মানুষ ধরে নিয়েছে যে, একটা ন্যায্য কাজের জন্যও সরকারি-আধা সরকারি দপ্তরে গেলে হয় ঘুষ দিতে হবে, নয়তো প্রভাবশালী হতে হবে।


সামাজিক আস্থা বলতে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের অন্যান্য সদস্যের প্রতি মানুষের আস্থা বোঝায়। একটা সময় বলা হত যে, আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শ্রম এবং পুঁজি। এখন বলা হচ্ছে, উন্নয়নের জন্য শ্রম বা পুঁজির চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সামাজিক আস্থা। সামাজিক আস্থার মূলে এই কুঠারাঘাত এসেছে দুর্নীতির কারণে।


দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকে সরকারি কর্মকর্তাদের। কিন্তু দেশ তো চালায় রাজনীতিবিদরা। সরকারি কর্মীরাও পরিচালিত হয় রাজনৈতিক নেতৃত্বে নির্দেশে। তাই দিনশেষে সব দুর্নীতিই আসলে রাজনৈতিক দুর্নীতি। রাজনৈতিক নেতৃত্বে দুর্বলতা, উদাসীনতা আর প্রশ্রয়ে সরকারী কর্মীরা যেমন দুর্নীতি করেন, তেমনি উভয়ের যোগসাজসেই বেশি দুর্নীতি হয়। একটি সামাজিক সামাজিক সমস্যা হিসাবে দুর্নীতি কতটা ভয়াবহ তা নির্ণয় করা সহজ নয়। কিন্তু বুঝতে কষ্ট হয় না যে, এ ধরনের দুর্নীতি বৃহত্তর সমাজ এবং সমাজ কাঠামোর উপর যেসব অভিঘাত সৃষ্টি করে, সেগুলো ভয়ংকর।


রাজনীতি আর আমলাতন্ত্রের যোগসাজসে যে দুর্নীতি হচ্ছে তার কারণে সামাজিক আস্থায় ফাটল ধরছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সরকারি অফিসের উপরে আমাদের যে আস্থা, ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তা আর নেই বললেই চলে। এর ফলে এই প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যকারিতা এবং প্রাসঙ্গিকতা বিপুল ভাবে হ্রাস পাচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলির মান অত্যন্ত সঙ্গীন হয়ে পড়ছে।


একজন মেধাবী ছাত্র যখন ভাল ফলাফল করেও রাজনৈতিক কারণে বা অর্থ লেনদেন করতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের শিক্ষক হতে পারেনা তখন সমাজ একজন ভাল শিক্ষককে হারায়। এরকম করে মেধাবী এবং যোগ্যদের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ফিরিয়ে দেয়ার ফলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ এবং প্রায় সব সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে বেড়ে গেছে মধ্যমেধার রাজত্ব।


এর ফলাফল মারাত্মক। বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠান শুধু নয়, এখানে যারা চাকরি করেন, তাদের দিকেও মানুষ অনাস্থা নিয়ে তাকাচ্ছে আজ। ধরেই নেয় এরা ঘুষ দিয়ে চাকরি বাগিয়েছে এবং এরা ঘুষ খায়। এতে করে দু’একজন ভাল কর্মীও অভিযোগের বাইরে থাকে না। একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। এতে করে বেসরকারি খাতও এই ধারণার বাইরে থাকছে না। এখন ধরেই নেয়া হচ্ছে যে, একজন একজন সফল ব্যবসায়ী মাানেই তিনি সফল হয়েছেন অসৎ উপায়ে, সরকারি কর্মকর্তাদের ‘নজরানা’ দিয়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও