ঈদ আনন্দ ও দুষ্টচক্রের খপ্পরে চামড়াশিল্প
১৭ জুন সোমবার আমাদের দেশে কোরবানির ঈদ উদ্যাপিত হয়েছে। এর আগে গত শনিবার সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালিত এবং পরদিন অন্যান্য দেশেও মুসলমানদের ঈদ উদ্যাপিত হয়েছে। এ বছর অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা, সমালোচনা সর্বত্র রয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা এখন প্রতিদিন শুনতে শুনতে মুখস্থ হয়ে গেছে, দ্রব্যমূল্য কত হলে ঊর্ধ্ব, কত হলে সহনীয় হবে, সেটাই অনেকটা ভুলে যাওয়ার কথা। সে অবস্থায় সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্তরা খুব চাপে আছেন বলে প্রচারও রয়েছে। বাজারে গিয়ে অনেকেই তেমন একটা কেনাকাটা করতে পারছেন না বলেও গণমাধ্যমে প্রচার। কোরবানির ঈদের আগে বলা হয়েছিল, মানুষ এবার আগের মতো কোরবানিই হয়তো দিতে পারবে না। গরু-ছাগলের দাম এবার অন্য পণ্যসামগ্রীর মতোই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাবে। পশুখাদ্যের দাম অনেক বেশি। তাই পশু না কিনেই এবার বাড়ি ফিরতে হবে—এমনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনেক জায়গাতেই প্রচার-অপপ্রচারে জায়গা করে নিয়েছিল।
মানুষের হাতে টাকা নেই, তাই এবারের কোরবানির ঈদটাও ভালো হবে না—এমনটিও কেউ কেউ প্রচার করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গরু ও ছাগলের হাটের দৃশ্য দেখে কি মনে হয়েছে দেশের মানুষ আগের চেয়ে খুব খারাপ ঈদ করেছে?