ভারতে মুসলিম প্রতিনিধিত্ব তলানিতে, হিন্দুত্ববাদে ফিকে হচ্ছে বহুত্ববাদ

প্রথম আলো ভারত শুভজিৎ বাগচী প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৪, ১২:১৬

ভারতের জাতীয় নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এটিকে দেশি–বিদেশি সংবাদ মাধ্যম হিন্দুত্ববাদের পরাজয় হিসেবে দাবি করছে। তাদের এই দাবি যে কত অবান্তর, তা একটিমাত্র উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করব।


স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এই প্রথম ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোনো মুসলমান মন্ত্রীর স্থান হয়নি। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই লোকসভায় মুসলমান জনপ্রতিনিধির সংখ্যা কমছিল। এরপরও ২০১৪ ও ২০১৯ সালে সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়টি পেয়েছিলেন দুজন মুসলিম এমপি। ২০১৪ সালে নাজমা হেপতুল্লাহ এবং ২০১৯ সালে মুখতার আব্বাস নাকভি। এবার কেউ নেই।


ভারতে ১৯৫২ সালের প্রথম নির্বাচন থেকে মুসলমান এমপির হার  ৫ শতাংশের নিচে যায়নি। ১৯৫৭ সালে দেশভাগ ও সাম্প্রদায়িক আবহাওয়ার কারণে মুসলমান এমপির হার ৪ দশমিক ৬৬ এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৯৬ সালে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। এ ছাড়া প্রতিবারই ভারতে মুসলমান এমপির সংখ্যা লোকসভায় ছিল ৫ শতাংশের ওপরে।


এখানে লক্ষণীয়, কংগ্রেসের আমলেও লোকসভায় মুসলমান প্রতিনিধির হার সব সময়েই ঘোরাফেরা করেছে ৫ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে, এমনকি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর প্রধান প্রবক্তা জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েও। যদিও ১৯৫২ সালের প্রথম নির্বাচন থেকে ভারতে মুসলমান জনসংখ্যা কখনোই ১০ শতাংশের নিচে যায়নি, জানিয়েছেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া অধ্যাপক আদনান ফারুকি (পলিটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেশন অব আ মাইনরিটি, রুটলেজ)।


কিন্তু ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে এই হার দ্রুত কমতে শুরু করে। ২০১৪ সাল থেকে পরপর তিনটি নির্বাচনে লোকসভায় মুসলমান এমপির গড় হার ৪ দশমিক ৪৮। ১৯৫২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই গড় ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে লোকসভায় মুসলমান জনপ্রতিনিধিত্ব গড়ে দেড় শতাংশ কমে গিয়েছে।


প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে সব দল


২০১৪ সাল থেকে আরও উদ্বেগজনক একটা ঘটনা ঘটছে। বিজেপিবিরোধী সংখ্যাগরিষ্ঠ ও তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোও লোকসভায় মুসলমান প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া সাংঘাতিক হারে কমিয়ে দিয়েছে।


২০১৪ সালে মোট ৩ হাজার ২৪৫ প্রার্থীর মধ্যে ৩২০ জন, অর্থাৎ ৯ দশমিক ৯ শতাংশ মুসলমান ছিলেন বলে ‘মেজরিটেরিয়ান স্টেট’ বইতে লিখেছেন ফরাসি অধ্যাপক ও ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস্টোফ জেফ্রোলে। ভারতের নির্বাচনে প্রার্থী বিশ্লেষক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস জানিয়েছে, ২০২৪ সালে অন্তত ৮ হাজার ৩৩৭ জন (এটা চূড়ান্ত সংখ্যা নয়, আরও বাড়তে পারে, কিন্তু কখনোই কমবে না) প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, যার মধ্যে মুসলমান প্রার্থীর সংখ্যা ৭৮, অর্থাৎ শূন দশমিক ৯৩ শতাংশ। মানে, ভারতে গত ১০ বছরে মুসলিম প্রার্থীর হার ৯ দশমিক ৯ থেকে কমে শূন্য  দশমিক ৯৩ হয়ে গিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও