সুমন জাহিদের মৃত্যুরহস্য তদন্ত জরুরি

জাগো নিউজ ২৪ সুমি খান প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৪, ১২:০৬

'একটি ক্লীব কোমল
বিশ্রামের চেয়ে
বলিষ্ঠ মৃত্যু
অনেক মহৎ ...'
শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের শিলালিপি কবিতার এ পঙক্তি আমাদের নিয়ত শক্তি দেয়। একাত্তরের ঘাতক নেতা চৌধুরী মইনুদ্দিনের হাতে নিহত হন এ মেধাবী সাংবাদিক, দেশপ্রেমিক। মায়ের হত্যাকারীদের চাক্ষুষ করবার সাক্ষ্য আদালতে দিয়ে যেন পুত্র সুমন জাহিদ ও ২০১৮ সালের ১৪ জুন নির্মম হত্যার শিকার হলেন।


সাক্ষী সুরক্ষা আইন নিয়ে অনেক নিউজ করেছি। কিন্তু সাক্ষী সুরক্ষা আইন হলো না এদেশে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দিতে রাজি ছিলেন না অনেকে। দেন নি অনেক রথী মহারথী। স্বয়ং আইনমন্ত্রীর স্ত্রী প্রগতিশীল আন্দোলনের ধারক বাহকদের একজন হয়ে ও সাক্ষ্য দেন নি। এ কথা স্বয়ং প্রসিকিউটার (প্রশাসন) জেয়াদ আল মামুন আমাকে বলেন, যখন তিনি বারবার অনুরোধ করে ও রাজী করাতে পারেন নি তাঁর সাবেক নেত্রীকে। এই সেতা নেত্রীরা পদ পদবীর অলংকার হিসেবে মাইক ফাটানো মন গলানো কথা বলে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। সুমন জাহিদ রা না পেয়েছেন সাক্ষী হিসেবে সুরক্ষা, না পেয়েছেন শহীদের সন্তান হিসেবে ন্যূনতম বাঁচবার অধিকার।


সুমন ভাইয়ের গলা কাটা লাশ আমাদের অপরাধী করে দেয় না? আমি কখনও মেনে নিতে পারবো না। ২০১৮ সালের ১৪ জুন শহীদ সেলিনা পারভীনের একমাত্র পুত্র সুমন জাহিদের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায় রেললাইনের পাশে। শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের ছেলে সুমন জাহিদের খণ্ডিত লাশ পাওয়া গেছে ঢাকার খিলগাঁও বাগিচা এলাকায় রেল লাইনের পাশে। তিনি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধারণা করলেও তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিসহ সকলে। কোন তদন্ত হয় নি , কোন তথ্য আমরা কেউ জানতে ও পারি নি। ঘাতক দালাল রাজাকারের হাত বরাবরই লম্বা এদেশে।


ব্যাংক কর্মকর্তা সুমন জাহিদ (৫৭) যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন মায়ের ঘাতক জামাত নেতা চৌধুরী মঈনুদ্দিন ও আশরাফউদ্দিনকে দেখেছেন তাঁর মা’কে চোখ বেঁধে নিয়ে যেতে। আদালতের বিচারে যুক্তরাজ্যে পলাতক ঘাতক জামাত নেতা চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক আশরাফুজ্জামান এদেশ কে মেধাশূন্য করবার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে বুদ্ধিজীবীদের চোখ-হাত পিছমোড়া করে বেঁধে বর্বরোচিত নিপীড়ন অত্যাচার করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার দায়ে ঘাতকদের মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বাস্তবায়িত হয় নি এ রায়। সুমন জাহিদের মতো অনেক সাক্ষীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ও তদন্ত হয় নি। ভয়ঙ্কর ঘাতকের নিপুণ প্রতিশোধে জীবন ভর রক্তাক্ত হচ্ছি আমরা. যাঁদের পূর্বসূরিরা দেশমাতৃকার কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ দায় কি রাষ্ট্রের নয়?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও