জ্বালানিতে সংকট থাকলেও নজর বিদ্যুতে
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে জ্বালানি সংকট চলছে। গ্যাসের অভাবে বন্ধ বাসা-বাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ। কলকারখানাগুলো তাদের উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারছে৷ দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমতে থাকায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি বাড়ানো হচ্ছে। এতে প্রবল হচ্ছে চলমান ডলার সংকট।
এই সংকটের সময়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি খাতে এক হাজার ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জ্বালানি খাতে ৯৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। আর বিদায়ী বাজেটে বিদ্যুৎখাতে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এটি কমে হয় ২৭ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা।
উৎপাদন নিয়ে শঙ্কিত বিটিএমএ
প্রতি অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের তুলনায় জ্বালানি খাতে বরাদ্দ অনেক কম থাকে৷ এদিকে গ্যাসের অভাবে কলকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে৷ এ নিয়ে গত ৪ জুন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান জনেন্দ্ৰ নাথ সরকারকে চিঠি লিখেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)৷