শেখ হাসিনার হাত ধরেই ফিরুক ভোটাধিকার

ঢাকা পোষ্ট প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪, ১২:২২

শেখ হাসিনা এখন এক বিস্ময়ের নাম। শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বেই শেখ হাসিনা এখন অন্য এক মর্যাদায় আসীন। একজন নারী হয়ে বাংলাদেশের মতো একটি দেশে টানা চতুর্থ মেয়াদে ১৫ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সহজ কথা নয়। প্রথম মেয়াদের ৫ বছর ধরলে ৫৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের ২০ বছরই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।


অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কেউ কি ভেবেছিলেন তার কন্যাই তার অসমাপ্ত স্বপ্ন সফল করার দায়িত্ব নেবেন বা ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে আসেন, তখনো কেউ ভেবেছিলেন, শেখ হাসিনা একদিন বাংলাদেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে তুলে আনবেন। বাঙালি জাতির ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেট বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার নাগাল পায়নি।


শেখ হাসিনা আমার খুব প্রিয় চরিত্র। তিনি একজন মানবিক মানুষ, ভালো-মন্দ মিলিয়েই তিনি। তাই তাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি অনেক সমালোচনাও আছে। আমি জানি, খোলা মনে সমালোচনা গ্রহণ করার ঔদার্য শেখ হাসিনার আছে। পরিবারের প্রায় সবাইকে হারিয়ে, ২১ বার হত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা আসলে সর্বংসহা। তবে নব্য আওয়ামী লীগাররা শেখ হাসিনার কোনো সমালোচনাকেই গ্রহণ করতে পারেন না। ১৫ বছরে আমরা ভিন্নমতকে পায়ে দলিত করে অদ্ভুত এক ‘সহমত ভাই’য়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি।


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দেশে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশে শুরু হয় পাকিস্তানিকরণ। স্বাধীনতা বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত হয়ে যান। রাজনীতি ঢুকে পড়ে ক্যান্টনমেন্টে। এই সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তখন তার বয়স মাত্র ৩৪ বছর।


আওয়ামী লীগের মতো বড়, কোন্দল কবলিত এবং বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর সরকারি নিষ্পেষণে ধ্বংস প্রায় একটি দলের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়াটা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। শেখ হাসিনা সেই দায়িত্ব কতটা পালন করতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় ছিল অনেকেরই। দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবেই শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।


যারা তাকে ফিরিয়ে এনেছেন, তাদেরও ধারণা ছিল, শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে তারাই দল চালাবেন। কিন্তু শেখ হাসিনা সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব শুধু পালনই করেননি; আওয়ামী লীগকে তুলে এনেছেন অন্যরকম উচ্চতায়।


১৯৮১ সালে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা শুরু করেন দ্বিমুখী সংগ্রাম। প্রথমত, ধ্বংসস্তূপ থেকে আওয়ামী লীগকে দাঁড় করানো। দ্বিতীয়ত, দেশকে সামরিক ও স্বাধীনতা বিরোধীদের কবল থেকে মুক্ত করা। সমান তালে চলে তার কর্মযজ্ঞ। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের পতনের পর ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, এমন ধারণাই প্রচলিত ছিল। কিন্তু সব ধারণা পাল্টে দিয়ে জনগণের রায় পায় বিএনপি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও