আপনার অযাচিত মন্তব্য অন্যের জীবন বিষিয়ে তুলছে না তো!
প্রেরণার মন খারাপ। সহকর্মী একগাদা কথা শুনিয়ে গেলেন। জানলেন না কী হয়েছে, নিজের মতো করে খোঁচা–উপদেশ সবটাই দিলেন। ভালো লাগল না প্রেরণার, মনে হলো তির্যক কিছু উত্তর দেন। কিন্তু উপেক্ষা করলেন, অফিসের পরিবেশ নষ্ট হবে ভেবে।
শুধু সহকর্মী নয়, বন্ধুবান্ধব থেকে আত্মীয়স্বজন সবার কাছ থেকেই এমন অযাচিত উপদেশবাণী, খোঁচা শুনতে হয় প্রায়ই। অথচ এটা তাঁর বলার কথা নয়, অথবা এই অনধিকার চর্চা না করলেও পারতেন। শুধু অনুমান থেকে মন্তব্য করে বসেন এমন মানুষ। পরিচিতদের মধ্য থেকেই এমন কথার তির বেশি ছোড়া হয়। অপরপক্ষ কোন অবস্থায় বা কোন মুডে আছে, তার থোড়াই কেয়ার করেন তাঁরা, যেন দুটো উপদেশ দিতে পারলেই দিলখুশ!
এদের কি সত্যটা বোঝানো উচিত?
এই ধরনের মানুষ আপনার কথা শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত নয়, শুধু শোনাতেই আগ্রহ তাদের। বুঝে না বুঝে, স্থান কাল কোনোটাই বাধা হয় না তাদের। হয়তো কেউ তাকে বোঝানোর চেষ্টাও করেন, কিন্তু অভ্যাসটা কখন যে বদভ্যাসে পরিণত হয় সেটা হয়তো খেয়ালই নেই।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- মন্তব্য
- বিরূপ প্রভাব