You have reached your daily news limit

Please log in to continue


করদাতার সঙ্গে বাড়াতে হবে প্রত্যক্ষ কর আদায়

সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে কর প্রদানের যোগ্য দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ কর দেয় না। যারা দেয় তারাও পরিমাণে অনেক কম দেয়। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই কর প্রদানের হার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। 

খবরে প্রকাশ, কর আদায় বাড়াতে সরকার আরও তিনটি সেবায় রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। তার ফলে রিটার্ন জমার সঙ্গে যুক্ত মোট সেবার সংখ্যা ৪৭-এ দাঁড়াবে। কিন্তু এতেই কি আয়কর আদায় বাড়বে?

কোনো দেশের কর আদায়ের চিত্রটি কেমন, তা জানার জন্য মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সঙ্গে কর আহরণের হার বিবেচনা করা হয়। বিশ্বে কর আহরণের ক্ষেত্রে তলানিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। এখানে জিডিপির তুলনায় কর আহরণের হার মাত্র ৭.৮ শতাংশ। সম্প্রতি আইএমএফও চলমান ঋণ কর্মসূচির অন্যতম শর্তস্বরূপ বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ৯.৫ শতাংশে তুলতে বলেছে। 

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে কর আদায় কম হওয়ার জন্য অনেক কারণকে দায়ী করেন। তার মধ্যে প্রথমেই আসে রাজস্ব বিভাগের দুর্বলতা। আয়কর আদায়ের ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ছাড়া আর কারও কাছে তারা ঠিকভাবে পৌঁছাতে পারছেন না।

ঢাকায় বা বড় শহরগুলোতে এমন অনেকে আছেন, যাদের নিজ নামে অথবা পরিবারের সদস্যদের নামে ৮-১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে, প্রতি মাসে লাখ টাকার ওপরে আয় করেন; তাদের বড় অংশই আয়কর দেন না বলে খোদ রাজস্ব বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন। অন্যদিকে সেই বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে যে চাকরিজীবী থাকেন, যাঁর মাসিক আয় দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে, তাঁকে ঠিকই আয়কর দিতে হয়। একইভাবে ব্যবসায়ী কিংবা স্বাধীন পেশার বহু মানুষ অনেক বেশি আয় করেও আয়কর দেন না। রাজস্ব কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত দেশে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ২২ হাজার ৭৬ জন। অন্যদিকে রিটার্ন জমা দিয়েছেন ৩৯ লাখ ৯৫ হাজার ৬১৫ জন। সত্যিকার করদাতার সংখ্যা আরও অনেক কম। 

আগামী বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনা ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর সিংহভাগ ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা জোগাড় করতে হতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে। আগামী বাজেটে প্রত্যক্ষ কর, অর্থাৎ আয়কর খাতে ২০ শতাংশ এবং পরোক্ষ কর হিসেবে পরিচিত মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট খাতে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাজস্ব পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা, যেখানে এনবিআরের অংশ ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কৃচ্ছ্রের প্রভাব, ডলারের উচ্চমূল্য ছাড়াও আমদানি নিয়ন্ত্রণের কারণে রাজস্ব আদায়ের চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা অবশ্য কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের ৯ মাসে আদায় হয়েছে এ লক্ষ্যমাত্রার ৯২ শতাংশের কিছু বেশি। অর্থাৎ রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৮ শতাংশের মতো কম হয়েছে। অবশ্য শেষ তিন মাসে আদায় কিছুটা বাড়ে প্রতিবছরই। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন