ইউক্রেনে কি পুতিন বিজয় দেখবেন?

জাগো নিউজ ২৪ মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৪, ১১:০৬

রাশিয়া যখন দুই বছর আগে ইউক্রেনে হামলা চালায় তখন অনেকেই আশা করেছিল খুব সহজেই পুতিন বিজয়ের মুখ দেখবেন। রাশিয়া সব দিক থেকেই ইউক্রেনের চেয়ে এগিয়ে থেকেও যুদ্ধজয় সম্ভব করতে পারেনি এখনো। বরং ইউক্রেনে অভিযান চালিয়ে রাশিয়া বড় চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়েছে। রাশিয়ার অভ্যন্তরে যেমন সংকট বেড়েছে, তেমনি এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বরাজনীতিতে চলছে নানা পোলারাইজেশন। ইউক্রেন পশ্চিমা পুঁজিবাদী দুনিয়ার উদার সামরিক ও আর্থিক সমর্থন পেয়েছে।


আবার রাশিয়াও যে একেবারে মিত্রহীন নয়, সেটাও দেখা যাচ্ছে। পৃথিবী এখন আদর্শিক রাজনীতিকে ভিত্তি করে বিভক্ত না হয়ে এখন স্বার্থকেন্দ্রিক বিভক্তি বড় হয়ে উঠছে। এই স্বার্থের টানাপোড়েনের জন্য ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার রক্ষকের ভূমিকা পালনকারী আমেরিকার মোড়লিপনা অব্যাহত থাকায় পৃথিবীতে শান্তি ও স্বস্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রাশিয়া, চীন ও ভারত যদি আমেরিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলতে পারে, নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বিরোধ পাশে রেখে মানব জাতির বৃহত্তর স্বার্থগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি মানবিক বিশ্ব গড়ার কাজে মনোযোগ দেয়, তাহলে একটি নতুন দিন আসা অসম্ভব কিছু নয়।


এবার একটু দেখা যাক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কী ভাবছেন? এই যুদ্ধ কী শেষ হওয়ার পথে? নাকি এর জেরে দেশে দেশে মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট দারিদ্র্য আরও বাড়তেই থাকবে? বলা হচ্ছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সর্বাত্মক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন।


রাশিয়ার সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে চেপে ধরেছেন এবং গত দুই/তিন সপ্তাহে বেশ কয়েকটি গ্রাম দখলে নিয়েছেন। আরও অনেকগুলো লক্ষণ বলছে, রাশিয়া তাদের শক্তি ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে। এতে মনে হতে পারে, ইউক্রেনীয়দের ও পশ্চিমাদের পরাজয় বাস্তবে আরও সম্ভাব্য হয়ে উঠছে।


দেশের ভেতরে গত বছর ভাগনার গ্রুপের ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের বিদ্রোহের মুখে পড়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। পরবর্তী সময়ে প্রিগোশিন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন। ভ্লাদিমির পুতিনের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অ্যালেক্সি নাভালনি ফেব্রুয়ারি মাসে সাইবেরিয়ার বন্দিশিবিরে মৃত্যুবরণ করেন।


ষষ্ঠবারের মতো প্রেসিডেন্টের পদে বসার পর পুতিন তাঁর মিত্রদেশ উত্তর কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও পোক্ত করে ফেলেছেন। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া তাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। এর ফলে রাশিয়া তাদের যুদ্ধ-যন্ত্রকে খুব ভালোভাবেই সচল রাখতে পারছে। এর বিপরীতে গত ছয় মাসে ইউক্রেনীয় বাহিনী পশ্চিমা সামরিক সহায়তা না পাওয়ায় কারণে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে।


এ ছাড়া ১৬-১৭ মে বেইজিং সফরে যান ভ্লাদিমির পুতিন। সেই সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। প্রসঙ্গত বলা দরকার, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর কয় দিন আগে পুতিন ও সি নিজেদের মধ্যকার সহযোগিতা আরও গভীর করতে ‘সীমাহীন’ অংশীদারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে তাঁদের আদর্শিক লড়াইয়ের একধরনের বার্তাই তুলে ধরেছিল এটি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও