বাংলাদেশের এমপি কেন কলকাতায় খুন হন

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৪, ১৪:৪৬

বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য কলকাতায় খুন হলেন। আর খুনের মূল হোতা হিসেবে যাঁর নাম এসেছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি এবং ওই সংসদ সদস্যের বন্ধু। 


আমাদের একজন আইনপ্রণেতা এই প্রথম দেশের বাইরে হত্যার শিকার হলেন। এর আগে একাদশ সংসদের লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলামকে কুয়েতের আদালত চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন অর্থ ও মানব পাচারের মামলায়। তিনি এখনো সেই দেশের জেলে আছেন। এই দুই ঘটনা রাজনীতির সঙ্গে অপরাধজগতের সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেয়। 


১৩ মে ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম নৃশংসভাবে খুন হন। ঘটনাটি খুবই নির্মম ও বেদনাদায়ক। ১২ মে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে।


গোয়েন্দা সূত্রের খবরে বলা হয়, আনোয়ারুল আজীমকে খুনের জন্য কলকাতার নিউ টাউন এলাকায় বাসা ভাড়া করেন বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আখতারুজ্জামান। আনোয়ারুলকে কৌশলে সেই বাসায় নিয়ে গিয়ে ভাড়াটে লোকদের দিয়ে খুন করা হয়। তাঁদের মধ্যে আমানুল্লাহ (প্রকৃত নাম শিমুল ভূঁইয়া) একসময়কার চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) অন্যতম নেতা। যাঁরা আগে সমাজবিপ্লবের জন্য শ্রেণিশত্রু খতমের রাজনীতি করতেন, তাঁরা এখন ভাড়া খাটছেন!


বাংলাদেশে রাজনীতির সঙ্গে অপরাধজগতের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। একসময় বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কলকাতায় আস্তানা গেড়েছিলেন। এখন তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন এবং সেসব স্থান থেকে দেশের অপরাধজগৎকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। ১৯ মে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ছিল, ‘বিদেশে থেকেই ঢাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তাঁরা।’


ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের রাজনৈতিক উত্থান দলবদল ও ক্ষমতার বলয়ের মাধ্যমে। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন বিএনপি নেতা ও পরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন তিনি। ১৯৯২ সালে কালীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা হিসেবে।


১৯৯৫ সালে আবদুল মান্নান বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তখন আনোয়ারুলও তাঁকে অনুসরণ করেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে আনোয়ারুল ভারতে চলে যান।


তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এবং চরমপন্থীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ৯টির বেশি মামলা ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে ইন্টারপোল তাঁর নামে রেড অ্যালার্টও জারি করেছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও