মানুষের আয় কম, ব্যয় বেশি, ছোট করতে হচ্ছে বাজারের ফর্দ
রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শহীদ। ভাড়ায় গাড়ি চালান। মাসে তাঁর আয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে এই আয় দিয়ে বাসাভাড়া, সন্তানের পড়াশোনা, বাজার, চিকিৎসা—এসব খরচ এখন আর চলছে না।
গত দু-তিন বছরে আয়ের তেমন শ্রীবৃদ্ধি নেই মোহাম্মদ শহীদের, কিন্তু খরচ বেড়েছে অনেক। গলির মুদিদোকানে বাকির খাতা দিনে দিনে ভারী হচ্ছে। প্রয়োজন মেটাতে মাসের শেষের দিকে অনেক সময় ধারদেনাও করতে হয় তাঁকে।
মোহাম্মদ শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত এক-দেড় বছরে চাল, ডাল, চিনি, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়েছে। কিন্তু গাড়ির ভাড়ার ব্যবসা তেমন বাড়েনি। ফলে আগের আয় দিয়ে আর সংসার চালানো যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে কয়েক মাস আগে ফ্ল্যাট বাসা ছেড়ে টিনশেডের বাসা ভাড়া নিয়েছি।’
সংসার চালানোর এমন ভোগান্তি শুধু গাড়িচালক মোহাম্মদ শহীদের একার নয়। প্রায় দুই বছর ধরেই কষ্টে আছেন দেশের নিম্ন আয় ও সীমিত আয়ের মানুষ। এ সময়ে তাঁদের আয় তেমন বাড়েনি, কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মোটামুটি হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সংসার চালাতে ধারদেনাও করতে হচ্ছে। ছোট করতে হয়েছে বাজারের ফর্দ।