বগুড়ায় এত বাল্যবিয়ে কেন, কী বলছে বাসিন্দারা
কিশোর-কিশোরী ক্লাবের অনুষ্ঠানে আর সবার সঙ্গে গাইত মেয়েটি, ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্য-রাগে।’ লাল-সবুজ শাড়ি, টিকলি-টায়রা, কানে দুল আর মাথায় প্লাস্টিকের ফুল লাগিয়ে ‘জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ’ গানের সঙ্গে নাচত। সেই জ্বলে ওঠা আর হয়নি মেয়েটির।
২০২২ সালের শেষের দিকে এক ঈদের ছুটিতে বিয়ে হয়ে যায় মেয়েটির। তখন সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্কুল ও ক্লাবের পাটও চুকে যায় তার। ছোটখাটো গড়নের, দুর্বল মেয়েটির কোলে এখন আট মাসের কন্যাশিশু।
জন্মনিবন্ধন অনুসারে মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। থাকে শ্বশুরবাড়িতে; বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নে। গত ১৮ এপ্রিল সেখানেই কথা হয় তার সঙ্গে। বেলা তখন ১১টা। কোলের শিশুটি বিছানায় ঘুমাচ্ছে। টিনের চালা আর মাটির মেঝের ঘর। বারান্দায় প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে কথা শুরু হয়। মেয়েটি জানায়, এনজিও টিএমএসএসের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্য থাকার সময় নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে। সেবার (২০২২) অনুষ্ঠানের পাঁচ দিন পর তার বিয়ে হয়ে যায়।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বাল্য বিয়ে