মায়ের খেয়াল রাখছেন তো?
জীবনভর মা-ই আমাদের খেয়াল রেখে যান, তার খেয়াল রাখার সময় আমাদের হয় কি? আমাদের জীবনে আমরা মোট যতটুকু যত্ন আর ভালোবাসা পাই, তার অধিকাংশই পাই আমাদের মায়ের কাছ থেকে। নিজের ভেতরে একটু একটু করে বড় করা, এরপর পৃথিবীর আলো দেখানো আর পৃথিবীর এবড়োথেবড়ো পথে চলতে শেখানো। মা পাশে না থাকলে তা কী করে সম্ভব! তাই তো সবচেয়েও হতভাগা সে-ই, যার মা নেই।
খুব ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন এমন কারও সঙ্গে কথা বললেই আপনি বুঝতে পারবেন, পুরো জীবনটা তার কতটা কষ্টে কেটেছে। একজন মাকে হারানোর ক্ষতি এক পৃথিবীর সমান। কোনোকিছুতেই সেই ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। শুধু ছোটবেলায়ই নয়, বড়বেলায় এসেও মাকে হারালে এলোমেলো হয়ে যায় অনেকের পৃথিবী। তাই যাদের মা বেঁচে আছেন তারা নিজেকে অনেক বেশিই সৌভাগ্যবান ভাবতে পারেন। মায়ের চেয়ে বড় সম্পদও যে আর নেই পৃথিবীতে!
আমাদের ব্যস্ত জীবনে হাজারো অগুরুত্বপূর্ণ জিনিসও অনেক সময় জায়গা করে নেয়। কিন্তু দূরে থাকা মাকে নিয়ে ভাবার মতো সময় অনেকেরই থাকে না। শুনতে রূঢ় শোনালেও বর্তমানে এটি অনেকটাই সত্যি। তাই বলে বলছি না যে মায়ের কথা কোনো সন্তানই ভাবে না। বরং মাকে ভালোবাসার গল্প কিংবা উদাহরণও রয়েছে ভুড়ি ভুড়ি। কিন্তু তেমন হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হলো মায়ের সঙ্গে কঠোর আচরণ, নিয়মিত তার খোঁজ না নেওয়া, তার সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করা। আমরা একটু সচেতন হলেই এই ভুল থেকে দূরে থাকতে পারি।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- বিশ্ব মা দিবস