ভেতর থেকেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার প্রয়োজন

বণিক বার্তা মোহাম্মদ জমির প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৯

গত কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণকারী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) কাজ করার পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন। তারা বলছেন, এ গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সদস্যরা সম্মিলিত ভিত্তিতে বা নিজেরাই যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলেছে সেগুলো অনুসরণ করতে সক্ষম হয়নি। প্রায় দুই দশক ধরে নিরাপত্তা পরিষদের কার্যক্রম বড় আকারে হতাশার সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। 


গত নভেম্বরে সাধারণ পরিষদের (জিএ) বার্ষিক আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জিএ সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস প্রতিনিধিদের বলেছিলেন, কাঠামোগত সংস্কার না হলে নিরাপত্তা পরিষদের কর্মক্ষমতা এবং বৈধতা অনিবার্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশ্বজুড়ে অঞ্চলগুলোয় সহিংসতা ও যুদ্ধ অব্যাহত। অন্যদিকে ইউএনএসসির বিভাজনের কারণে জাতিসংঘকে অসহায় বলে মনে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার প্রাথমিক পাহারাদার হিসেবে ইউএনএসসি তার দায়িত্ব থেকে বিপজ্জনকভাবে পিছিয়ে পড়েছে। 


এদিকে গ্রুপ অব ফোর (জি৪: ব্রাজিল, জার্মানি, ভারত ও জাপান) দ্বারা প্রবর্তিত সংস্কারের জন্য একটি প্রস্তাবিত নতুন মডেল নিয়ে আলোচনা চলছে। আশ্চর্যের বিষয়, চারটি দেশই স্থায়ী আসনের (পি৫এস) জন্য দীর্ঘস্থায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, যা ৭৯ বছর আগে বিশ্ব সংস্থা গঠনের পর থেকে পাঁচটি দেশের (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া) বিশেষাধিকার রয়ে গেছে। জি৪ মোট ১১টি স্থায়ী সদস্য (পি১১) আহ্বান করেছে। এরা চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আরো ছয় সদস্যের অন্তর্ভুক্তির কথা বলছে। 


এখানে উল্লেখ্য যে, সম্ভাব্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এবং নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের বিষয়ে একটি সমন্বিত কাঠামো প্রস্তাব গ্রহণের পর, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের দায়িত্ব ও দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত আগ্রহী সদস্য রাষ্ট্রগুলো লিখিতভাবে সাধারণ পরিষদের সভাপতির কাছে তাদের প্রার্থিতা জমা দেবে। এরপর সাধারণ পরিষদ যত দ্রুত সম্ভব, সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে, সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে ছয়জন নতুন স্থায়ী সদস্য নির্বাচনের জন্য অগ্রসর হবে। গোপন ভোটের মাধ্যমে নতুন স্থায়ী সদস্যদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণ পরিষদের কার্যপ্রণালির নিয়মগুলো প্রয়োগ করা হবে।


এ প্রসঙ্গে আরো গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, ২৩ (১) অনুচ্ছেদের মানদণ্ড নতুন স্থায়ী সদস্যদের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত। যেখানে জোর দেয়া হয়েছে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং সংগঠনের অন্যান্য উদ্দেশ্যে ও ন্যায়সংগত ভৌগোলিক বণ্টনের ক্ষেত্রে তাদের অবদানের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদান করা হবে।"এক্ষেত্রে দুই বছর মেয়াদে অস্থায়ী সদস্যদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অবশ্য বর্তমান পদ্ধতি অনুসরণ করবে। বর্তমানে অস্থায়ী সদস্য ১০ যা মোট ১৪/১৫ আসনে উন্নীত করা হবে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও