কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বড় দুই দলেই অস্বস্তি

www.ajkerpatrika.com মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

ঈদ ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এবার ছুটি মোটামুটি লম্বা হয়েছে। এবারই প্রথম দেশে ছয় দিন টানা কোনো দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। আমার মতো বয়স্ক মানুষ, যাঁদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস সকালে খবরের কাগজ পড়া, তাঁদের জন্য এই ছয় দিন কতটা অস্বস্তিকর ছিল, তা বলে বোঝানো যাবে না। তবে এবার ঈদ উপলক্ষে যাঁরা ঢাকা ছেড়েছিলেন, তাঁদের যাত্রা অনেকটাই নির্বিঘ্ন হয়েছে বলেই শুনেছি। তবু প্রচণ্ড গরমে এবং গাদাগাদি করে যাঁদের যাওয়া-আসা করতে হয়েছে, তাঁদের কষ্টটাও বুঝি না তা নয়। আমরা একটা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেই স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র কায়েম করলেও বৈষম্যের জাল এখনো ছিন্ন করতে পারিনি। যত দিন এই বৈষম্য বজায় থাকবে, তত দিন উৎসব-আনন্দও সব মানুষের এক রকম হবে না। এ নিয়ে আমরা বাহাস করতে পারব, নানা রকম তত্ত্বকথা আওড়াতে পারব, এর-ওর দিকে অভিযোগের তির নিক্ষেপ করতে পারব, কিন্তু তাতে পরিস্থিতির কোনো হেরফের হবে না।


আনন্দ উদ্‌যাপন শেষ হতে না হতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বড় সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের অকালমৃত্যু হয়েছে, অনেক পরিবারে হাহাকার নেমে এসেছে। এই পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই দাবি জোরের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে রাখছি—প্লিজ, আপনারা একটু নড়েচড়ে বসুন। যেসব কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, সেগুলো দূর করার জন্য চেষ্টাটা আন্তরিকভাবে করুন। যারা দুর্ঘটনার কথা বলে প্রকৃতপক্ষে মানুষ হত্যা করছে, সেই ঘাতকদের বিচারের আওতায় আনুন। আপনারা নিজেদের ভাগ্য গড়ার বিষয়ে তো উদাসীনতা দেখান না, তাহলে সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কেন?


আমি যেহেতু রাজনীতির মানুষ, তাই রাজনীতি নিয়ে দু-চার কথা বলা জরুরি মনে করছি। আমার এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, দেশে রাজনীতির নামে যা চলছে, তা আর চলতে দেওয়া উচিত নয়। মানুষকে উপেক্ষা করে, মানুষের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়ে যে রাজনীতি, তা দ্রুত পরিহার করা উচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা বলে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। সরকারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি এ জন্য যে, শেখ হাসিনার গতিশীল যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। আবার আমার মনে খেদও আছে এ জন্য যে, সত্যি কি বঙ্গবন্ধু এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে কিছু মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলবে, আবার কিছু মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করবে?


বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছেন বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাও একাধিকবার সেই রাজনীতির ধারা অনুসরণের কথাই বলেছেন। কিন্তু দেশ কি সত্যি দুঃখী মানুষের দুঃখ মোচনের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে? অন্যায়, দুর্নীতি কমবেশি অনেক দেশেই হয়। কিন্তু দেশটাতে দুর্বৃত্ত চরিত্রের মানুষেরা যেভাবে নীতিনির্ধারণী ভূমিকা পাচ্ছে, সেটা অন্য কোনো সভ্য দেশে কল্পনা করা যায় কি? আমার দুঃখ এটাই যে একজন দুর্নীতিবাজ, ব্যাংক লুটেরা, বিদেশে পুঁজি পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া গেল না। যখন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবি করা হয়, তখন অলক্ষ্যে বুঝি অন্তর্যামীও বিদ্রূপের হাসি হাসেন।


আমরা দাবি করছি, দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচিত সরকার আছে। কিন্তু যেভাবে দেশে নির্বাচন হচ্ছে অধিকাংশ মানুষকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে, ভয়ভীতি দেখিয়ে কিংবা বিপুল অর্থ ব্যয় করে ভোটের পাট চুকানো হচ্ছে, এটা কি নীতিনৈতিকতার দিক থেকে সমর্থনযোগ্য? যার খুশি নির্বাচনে দাঁড়াবে, অধিকসংখ্যক মানুষ যাকে ভোট দেবে তিনিই নির্বাচিত হবেন—গণতন্ত্রের এই সর্বজনীন বৈশিষ্ট্য কি আমাদের দেশে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে অনুসরণ করা হচ্ছে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও