পুতিনের পঞ্চম তারপর...

www.ajkerpatrika.com রাশিয়া আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১

রাশিয়ার নির্বাচনে পুতিন জয়লাভ করবেন, এ ব্যাপারে কারও মনে কোনো সন্দেহ ছিল না। শুধু একটা বিষয়ে সবার মনে একটু দ্বিধা ছিল, প্রদত্ত ভোটের কত ভাগ পুতিন পাবেন। পুতিনের জনপ্রিয়তা সব সময়ই ৭০ ভাগের ওপরে থেকেছে, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই।


গত নির্বাচনের আগে পুতিনের জনপ্রিয়তা ছিল ৭৩ ভাগ। এবারের নির্বাচনের পর সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে পুতিন পেয়েছেন ৮৭ শতাংশ ভোট। রাশিয়া ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান চালানোর পর থেকে অনেকে বলেছিলেন, এবার পুতিন তাঁর জনপ্রিয়তা রাশিয়ার মধ্যেই হারাবেন। বাস্তবে দেখা গেল, পুতিনের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেছে।


ইউক্রেনে রাশিয়ার ঘোষিত বিশেষ অপারেশন এখন যুদ্ধে রূপ নিয়েছে, পুতিন নিজেই এটা ঘোষণা করেছেন। সারা বিশ্বের টনক নড়েছে, ইউক্রেন থেকে রাশিয়া তার সেনা অপসারণ করবে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সহজে শেষ হবে না। জয় না পাওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ বন্ধ করবে না রাশিয়া।


ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা আগের মতো ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র দিয়ে এগিয়ে আসছে না। এদিকে আমেরিকার নির্বাচন আসন্ন, অনেকে মনে করছেন ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হবেন, এই ট্রাম্প বারবারই বলে আসছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হতো না। এদিকে ন্যাটো প্রকারান্তরে বলে দিয়েছে, রাশিয়াকে সামরিক যুদ্ধে পরাজিত করা সম্ভব নয়। রাশিয়া-ইউক্রেনের সাধারণ সমরাস্ত্রের অনুপাত হলো ৭: ১। এ ছাড়া রাশিয়ার রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিনসহ বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, এই অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের মোকাবিলা করতে পারে একমাত্র আমেরিকা।


সারা বিশ্ব বুঝে নিয়েছে, রাশিয়ায় পুতিনের শাসন চলবে আরও বেশ কয়েক বছর। সপ্তাহ তিনেক আগে আমেরিকার পক্ষ থেকে মস্কোকে সাবধান করা হয়েছিল রাশিয়ায় চোরাগোপ্তা হামলা হতে পারে। কিন্তু এই বক্তব্যের সপক্ষে তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যভিত্তিক উপাত্ত ছিল না। রাশিয়া এটাকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে করেনি। পুতিনের বিজয়, আমেরিকার সাবধান বাণীর পরে ২২ মার্চ ঘটে গেল মস্কোর অদূরে ক্রোকাস কনসার্ট হলে প্রলয়ংকরী হত্যাকাণ্ড। ১৩৩ জন মানুষের প্রাণ গেল, শত শত লোক আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।


রাশিয়ার মানুষ মনে করছে, পুতিনের বিজয়ে ইউক্রেনের বন্ধুরা এই হামলার পেছনে আছে। যদিও এই হামলার দায় আইএস স্বীকার করেছে, কিন্তু রাশিয়ার জনগণ সেটা বিশ্বাস করছে না। তারা ভাবছে, এর পেছনে আইএসের পাশাপাশি আরও কেউ আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও