বৈশাখী আয়োজনে রাখতে পারেন ১০ আইটেমের ভর্তা
ঈদ আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই চলে এসেছে বৈশাখী উৎসব। আগামীকাল রোববার পহেলা বৈশাখ। ঈদে পোলাও-মাংস যথেষ্ট খাওয়া হয়েছে। এবার বৈশাখী আয়োজনে নানা পদের ভর্তা রাখতে পারেন, গরম ভাত কিংবা পান্তা ভাতের সঙ্গে এসব ভর্তা পরিবেশন করুন।
জেনে নিন এমনই কিছু ভর্তার রেসিপি-
ডাল ভর্তা
ডাল ভর্তা তৈরির জন্য প্যানে মসুরের ডাল নিন। এর সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি, অল্প হলুদের গুঁড়া ও লবণ দিন। পানি এমনভাবে দেবেন যেন সেদ্ধ হতে হতে সম্পূর্ণ পানি টেনে শুকনা হয়ে যায়। ভেজে রাখা শুকনা মরিচ ভেঙে গুড়া করে নিন। এর সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ কুচি, দুটি ভাজা কাঁচা মরিচ, ২ কোয়া রসুন, ধনিয়া পাতা কুচি ও সরিষার তেল সঙ্গে মেখে নিন। প্রয়োজন মতো লবণ দিয়ে মেশান। শেষে সেদ্ধ ডাল দিয়ে মিশিয়ে নিন।
ডিম ভর্তা
ডিম ভর্তা তৈরির জন্য ভেজে রাখা শুকনা মরিচ লবণ দিয়ে ডলে ভেঙে নিন। এর সঙ্গে মেশান ভেজে রাখা পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ। সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে নিন। ধনিয়া পাতা কুচি ও দুটো সেদ্ধ ডিম মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন মজাদার ডিম ভর্তা।
শুঁটকি ভর্তা
শুঁটকি ভর্তার এজন্য দেড়শ গ্রাম লইট্টা শুঁটকি বড় টুকরা করে কেটে বলক ওঠা পানিতে দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন পাত্র। ৫ মিনিট সেদ্ধ করার পর পানি থেকে উঠিয়ে মাঝের কাঁটা বের করে নিন। প্যানে সরিষার তেল দিয়ে মাছগুলো ভেজে নিন। মাছ উঠিয়ে একই প্যানে আরও খানিকটা সরিষার তেল দিয়ে কয়েকটি শুকনা মরিচ ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে উঠিয়ে ১/৩ কাপ পেঁয়াজ কুচি ও ১ চা চামচ কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ হালকা নরম হয়ে আসলে আধা চা চামচ আদা বাটা, ১/৪ চা চামচ রসুন বাটা, আধা চা চামচ মরিচের গুঁড়া, ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, ১/৪ চা চামচ জিরার গুঁড়া ও স্বাদ মতো লবণ দিয়ে দিন। সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে তুলে রাখুন মসলা। এবার স্বাদ মতো লবণ দিয়ে শুকনা মরিচ ভেঙে নিন। ভেজে রাখা পেঁয়াজের মিশ্রণের সঙ্গে ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে নিন। সব শেষে ভেজে রাখা শুঁটকি ভেঙে মিশিয়ে নিন।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- ভর্তা রেসিপি
- বাংলা বর্ষবরণ